বিডি টপ টেন
শিশুর সাথে সব সময় ধমকের স্বরে কথা বলছেন না তো! সন্তানের সাথে শাউট করে কথা বলার পরিনতি :-
ছোটবেলা থেকে সন্তানের সাথে ভালো আচরণ করুন।
আমি বাসায় ফেরার পর উনি এসে বলল,
” আপনার কাজের লোক কোথায়? ”
— একটু বেড়াতে গেছে।
–আমাকে আগে বলল না। এখন দেখেনতো আমার ছোট ছেলেটা কি খাবে ?
আগে বললে আমি অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতাম।
–ভাবি ও হয়তো ভুলে গেছে।
–না যাই বলেন কোনো দায়িত্ব নিলে ঠিক ভাবে পালন করতে হয়।
–ভাবি ও হয়তো আপনার এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিক পায়না তাই অবহেলা করেছে। আপনি বরং দায়িত্বটা অন্য কাউকে দিয়েন।
সে কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে থেকে গটগট করে চলে গেলো।
ভাবলাম, অল্প শিক্ষিত মহিলাতো তাই এমন আরকি।
আসলে মানুষ একটা সুবিধা বেশিদিন ভোগ করলে সেটাকে তার অধিকার ভেবে নেয়।
ভুলে যায় –“It’s facility, not right.”
তাই শুধু সুবিধা দেয়া নয়, নেয়ার ক্ষেত্রেও সাবধান থাকা দরকার।
হিউম্যান বিহেভিয়ার খুব অদ্ভুত। এটা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই কাজ করে।
টিউশনি করানোর সময় আন্টি প্রতিদিন নাস্তা দিতেন। হঠাৎ টানা ২-৩ দিন নাস্তা না দেয়ায় আমার খুব খারাপ লেগেছিল, আরে নাস্তাই দিল না। পরে অবশ্য আমার নিজের আচরণে আমি নিজেই অবাক হই। আমার সাথে তো কখনো অভিভাবক এর নাস্তা নিয়ে চুক্তি হয়নি তারা তো আমাকে নাস্তা দিতে বাধ্য নন। বরং নাস্তা দেয়ার জন্য আমার তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিৎ ছিল।
কোনটা অধিকার আর কোনটা অতিরিক্ত পাচ্ছি, সেটা বুঝা জরুরি।।
হেদায়েত” হুট করে পাওয়া কোনো একদিনের বিষয় নয়…!!!
এর জন্য আয়োজন করতে হয়, বিশাল আয়োজন……….
নফসের বিরুদ্ধে গিয়ে নিয়মিত
বেশ কয়েকদিন কেটে যাবে এভাবেই….
তারপর নফস এবং শয়তান হেরে যাবে!!! হারবে….
কেন বলুন তো???
কারণ আপনি তো প্রথম ধাপে আল্লাহর দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিলেন,,,,,তাই স্বয়ং আল্লাহ আপনার দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে এসেছেন!!!
তাই শুধু ” হেদায়েত” এর অপেক্ষা করে নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকলে হবে না,,,,,
চেষ্টা করতে হবে!!! প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে….
“যে আল্লাহর দিকে হেঁটে হেঁটে যায়,,,আল্লাহ তার দিকে দৌড়ে দৌড়ে যান””
আর একেই বলে”হেদায়েত”
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে— পদ্মা সেতুর অবস্থান কত?
পৃথিবীতে অসংখ্য সেতু রয়েছে। এই অসংখ্য সেতুর মধ্যে দীর্ঘতম সেতুর তালিকায় বাংলাদেশের পদ্মাসেতু বিশ্বের ১২২তম দীর্ঘ সেতু।
“আমাদের ফ্যামিলিতে আম্মাকে দেখেছি আব্বাকে সারাজীবন আমাদের সামনে ছোট করে কথা বলেছে, মন থেকে সম্মান করেনি। আমিও বিয়ের পরে আমার হাজবেন্ডের সাথে বাড়াবাড়ি করেছি। ভাবতাম আমি এইরকম করতেছি আর আমার হাজবেন্ড টলারেট করতেছে, মানে আমি অনেক স্পেশাল।”
মেয়েরা ভালোবাসা পাওয়ার জন্য এরকম রাগ, অভিমান ও গ্যাঞ্জাম করে। তবে তা অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
রাগ শরীরের একটি অনুভূতির নাম মাত্র। রাগ হয়তো সবার সাথে সবকিছুতেই করা যায়। কিন্তু অভিমান… সবার সঙ্গে করা যায় না। অভিমানে ভালোবাসা থাকে, আর রাগে থাকে ঘৃণা ও প্রতিশোধের প্রবনতা। অভিমানে শাসন থাকে, আর রাগে জিঘাংষা থাকে। অভিমানে নিরবতা ও কষ্টানুভূতি থাকে আর রাগে গর্জন ও ভয়াবহতা থাকে। অভিমানের সমাপ্তি হয় ভালোবাসার সুখানুভতি দিয়ে, আর রাগের সমাপ্তি ঘটে ধন, জন ও সম্মানের ক্ষতি দিয়ে।
সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মিল-মহব্বতের বিকল্প নেই। টক্সিক স্ত্রীকে সংশোধনে স্বামীর প্রতি কুরআনের নির্দেশ:
আল্লাহ তাআলা কুরআনের দিকনির্দেশনা মোতাবেক স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীদের উত্তম আচরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
টক্সিক স্বামীর সাথে ঘর সংসার করার ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিদারুন মানসিক কষ্ট-যাতনা ও অসহনীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। এরা ঘৃণিত আল্লাহর কাছে, মানুষের কাছেও।
কুরআন-সুন্নাহয় এ জাতীয় লোকদের সম্পর্কে যা বলা হয়েছে:
✪ আল্লাহ তাআলা বলেন: “নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।” সূরা লোকমান: ১৮)
✪ হাদিসে এসেছে:
আল্লাহ তাআলা আমাদের দাম্পত্য জীবনের সমস্যাগুলো দূর করে শান্তি ও সুখের সুবাতাস বইয়ে দিন এবং বিশ্বাস, ভালবাসা, দয়া ও মমতায় ভরপুর করে দিন। আমীন।
