বিডি টপ টেন

বিডি টপ টেন

আজকের দিন-তারিখ-সময়
আজ ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার | ভোর ৫:৩০
  • হোম
  • ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস
  • অফার
  • জোকস
  • স্বাস্থ্য টিপস
  • তারকা সংবাদ
  • ধর্ম
    • ইসলাম
  • জনসচেতনতা
  • নব দিগন্ত
  • জানা অজানা
  • সংগৃহীত

❣️ কথা কিভাবে বলতে হবে ?

অক্টোবর ২৭, ২০২১ by Enamul Hoque Leave a Comment (Edit)

কিভাবে কথা বলতে হবে, পবিত্র কোরআনের কাছ থেকে শিখিঃ

১. কথা বলার পূর্বে সালাম দেয়া।
নূরঃ ৬১

২. সতর্কতার সাথে কথা বলা (কেননা প্রতিটি কথা রেকর্ড হয়)
ক্বফঃ ১৮

৩. সুন্দরভাবে ও উত্তমরূপে কথা বলা।
বাক্বারাহঃ ৮৩

৪. অনর্থক ও বাজে কথা পরিহার করা।
নূরঃ ৩

৫. কন্ঠস্বর নিচু করে কথা বলা।
সূরা লুকমানঃ ১৯ হুজুরাতঃ ২ – ৩

৬. বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলা।
নামলঃ ১২৫

৭. সঠিক কথা বলা ও পাপ মোচনের দোয়ার উন্মুক্ত করা।
আহযাবঃ ৭১ – ৭২

৮. গাধার মত কর্কশ স্বরে কথা না বলা।
লুকমানঃ ১৯

৯. উত্তম কথা বলে শত্রুকেও বন্ধুতে পরিণত করা।
হা- মীম সাজদাহঃ৩৪

১০. উত্তম কথায় দাওয়াত দেয়া।
হা- মীম সাজদাহঃ৩৪

১১. (ঈমানদারদের) কথা ও কাজ এক হওয়া।
ছফঃ ২

১২. পরিবারের সদস্যদের প্রতি ক্ষমারনীতি অবলম্বন করা ।
আ’রাফঃ ১৯৯

১৩. মেয়েরা পর পুরুষের সাথে আকর্ষণীয় ও কোমল ভাষায় কথা না বলা।
আহযাবঃ ৩২

১৪.মূর্খ ও অজ্ঞদের সাধ্যমত এড়িয়ে চলা।
ফুরকানঃ ৬৩

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা আমাদেরকে নির্দেশ মোতাবেক চলার তাউফিক দান করুন…আমিন।❣️❣️

Related Images:

Enamul Hoque
www.bn.bdtopten.com/author/ehoque/

Filed Under: অফার, ইসলাম, জনসচেতনতা, ধর্ম, নব দিগন্ত, প্রেরণা, মগজ ধোলাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু সুরক্ষা, সংগৃহীত, সুখি পরিবার Tagged With: আকর্ষণীয়ও কোমল, আহযাব, ঈমানদার, উত্তম কথা, কর্কশ স্বর, কিভাবে কথা বলতে হবে, ক্বফ, ক্ষমারনীতি, নামল, নূর, ফুরকান, বাক্বারাহ, মূর্খ ও অজ্ঞ, সূরা লুকমান, হা- মীম সাজদাহ, হুজুরাত

শিস দেয়া ছাত্রটি

অক্টোবর ২১, ২০২১ by Rifat Chowdhury Leave a Comment (Edit)

বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন নতুন অধ্যাপক তাঁর ক্লাস নিতে শুরু করলেন। যে মুহুর্তে তিনি পড়ানোর জন্যে ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে ঝুঁকলেন, সেই সময় ছাত্রদের মধ্যে কেউ একজন হঠাৎ করেই সিনেমা হলের মতো জোরে শিস বাজালো।

অধ্যাপক ঘুরে ক্লাসের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কে, কে শিস দিয়েছে? কে সিটি মারলো?

কেউ উত্তর দিলোনা। সবাই চুপ। সবাই এমন ভাব করেছে যেন কেউ কিছু শুনেনি বা দেখেনি।

অধ্যাপক শান্তভাবে চকটি টেবিলে রেখে বললেন, আজ আর লেকচার দেবোনা। তবে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি গল্প শোনাব তেমাদের।

সবাই আগ্রহী হয়ে নড়ে চড়ে বসলো। অধ্যাপক গল্প শুরু করলেন।

গতকাল রাতে আমি ঘুমানোর জন্য খুব চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু ঘুম আমার চোখ থেকে কয়েক মাইল দূরে আছে মনে হলো। ভাবলাম, ঘুম যখন আসছেনা আমার গাড়িতে রাতে পেট্রোল ভরে রাখি। যা কাল সকালের ভিড়ে আমার সময় বাঁচাবে এবং তারপর নির্বিঘ্নে আমি ঘুমাতেও পারবো।

গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে ট্যাংকটি পরিপূর্ণ করে নেয়ার পরে দেখি পুরো রাস্তা খালি। চারিদিকে ঠান্ডা বাতাস, আকাশে হালকা মেঘের আড়ালে আধো চাঁদ। তাই ভাবলাম একটু আশেপাশে ঘুরেই আসি।

একটু সামনে অগ্রসর হতেই হঠাৎ রাস্তার পাশের এক কোণে আমি একজন ভদ্রবেশী তরুণী মেয়েকে দেখলাম। আলো আঁধারিতে দাঁড়িয়ে আছেন অসহায় ভাবে। যেই রকম সুন্দরী সেই রকম সুন্দর পোশাক তাঁর! পোশাকটি দেখে মনে হচ্ছিলো তাঁর রূপের সঙ্গে ম্যাচ করে কোন নিপুণ শিল্পী এটি বানিয়েছেন! নিশ্চয়ই কোনও পার্টি থেকে ফিরছেন তিনি। আমি চোখ ফেরাতে পারছিলাম না! প্রথম নজরেই প্রেমে পড়ে গেলাম।

সৌজন্যতা বোধ হারিয়ে আমি আমার গাড়িটি ঘুরিয়ে তাঁর পাশে থামাই। গাড়ির কাচ নামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আমি কি কোনো সহায়তা করতে পারি আপনাকে? যদি কোন সাহায্য করতে পারি তবে বলুন।’

তরুণীটি হেসে উঠলো সলজ্জভাবে। তাঁর শুভ্র দন্তরাজীর ঝিলিক দেখে মনে হলো, যেন সন্ধ্যাতারা রাস্তার কোণ জুড়ে নেমে এসেছে।

তিনি মৃদু হেসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আমি কি তাকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারি? তাঁর গাড়িটি আসবেনা কারণ স্টার্ট নিচ্ছেনা বলে জানিয়েছে তাঁর ড্রাইভার। আর সে কোন ট্যাক্সিও পাচ্ছেনা অনেক্ষণ ধরে।

আমার হার্টবিট বেড়ে গেলো। আমি গাড়ি থেকে নেমে তাকে আমার সামনের দরজা খুলে দিলাম। তিনি আমার সাথে সামনের সিটেই বসলেন সানন্দে।

অতঃপর আমি তাকে নিজের পরিচয় জানিয়ে বললাম, আমি আপনাদের এলাকারই পাশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
উনি উনার পরিচয় জানালেন। আমরা কথা বলতে শুরু করলাম এবং অবাক হয়ে দেখলাম তিনি খুবই বুদ্ধিমতী! বিভিন্ন ধরণের টপিক নিয়ে আলোচনা করার পর বুঝলাম; সবগুলো বিষয়ের উপরই তাঁর প্রভুত জ্ঞান আছে। যা আজকালকার অনেক যুবকেরই নেই।

অনেক দূরে তাঁর ঠিকানায় যখন পৌঁছলাম, তিনি আমার বিনয় প্রকৃতি ও সুন্দর আচরণের প্রশংসা করে বললেন, আমরা দুজনেই মুক্ত মনের মানুষ। আমাদের আবার দেখা হতে পারে। এবং লজ্জাবতী পাতার মতো গুটিয়ে না গিয়ে বলেই ফেললেন, আমার মতো একজন যুবক ছিল তাঁর কল্পনায়। রাখঢাক না করেই জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি বিবাহিত? আমি বুঝে ফেললাম, তিনিও প্রথম দর্শনেই আমার প্রেমে পড়েছেন।

আমি বললাম, আপনার অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে প্রথমেই আমি গাড়ি ঘুরিয়েছিলাম। এই রকম একজন রাজকন্যার স্বপ্ন আমি দেখতাম, যে দেখতে ঠিক আপনার মতো হবে এবং আমি ভাবতাম তাকেই আমি বিয়ে করবো। তারপর আপনার জ্ঞান, বুদ্ধি ও কথার গভীরতা শুনে আমি খোলাখুলি বলছি, ইতিমধ্যে আমিও আপনার গভীর প্রেমে পড়ে গেছি।

মেয়েটি বললো, আসুন আমাদের এপার্টমেন্টে। চা খাবেন ও আরো কিছুক্ষন গল্প করা যাবে।

প্রেম যখন প্রকাশিত হয়েই গেছে দুই তরফে, তাহলে আর দ্বিধা রেখে লাভ কি। ওর বাসার ভেতরে চলে গেলাম।

আরো কিছুক্ষণ গল্প করে বিদায় নেয়ার সময় সে আমাকে বললো, শুনুন, আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা উল্লেখ করেছেন, আমার ভাই সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। মানে আপনারই ছাত্র হবে। যদিও সে এখন বাসায় নেই। আপনি ওর দিকে একটু খেয়াল রাখবেন যেন ঠিকমতো পড়াশুনা করে। এখন থেকে আমাদের মধ্যে যেহেতু একটি সুন্দর সম্পর্ক হয়ে গেছে সেহেতু এটি আপনার দায়িত্ব হয়ে গেল।

আমি বললাম, তোমার ভাইয়ের নাম কি?

আমার নব্য প্রেমিকা বললো, আপনি আর আমি পরস্পরকে আমাদের প্রখর বুদ্ধিমত্তার কারণে স্বল্প সময়ে ভালোবেসে ফেলেছি। আপনি আপনার বুদ্ধি দিয়ে খুঁজে বের করবেন তাকে। তাই আমি তাঁর নাম বলছি না। তবে আমার ভাইয়ের একটা বৈশিষ্ট আছে যা দিয়ে আপনি তাকে চিনতে পারবে।

বললাম, আচ্ছা। তাহলে বলো কি সেই বৈশিষ্ট?

আমার প্রেমিকা বললো, সে প্রায়ই হঠাৎ জোরে শিস দেয়!

পুরো ক্লাসের সমস্ত চোখ তৎক্ষণাৎ যে ছেলেটি শিস দিয়েছিল তাঁর দিকে ঘাড় ফিরিয়ে তাকিয়ে রইলো।

অধ্যাপক ধীরে ধীরে চকটি আবার হাতে উঠিয়ে নিয়ে গম্ভীর স্বরে বললেন: “মনোবিজ্ঞানে আমার পিএইচডি ডিগ্রিটি এমনি এমনি আসেনি, আমি এটি অর্জন করেছি।”

বিজ্ঞ অধ্যাপক একটি কাল্পনিক গল্পের মাধ্যমে ক্লাসে শিস দেয়া ছাত্রটিকে খুঁজে বের করলেন।

Related Images:

Rifat Chowdhury

Filed Under: অফার, জনসচেতনতা, জানা অজানা, জেনে নিন, ধর্ম, নব দিগন্ত, প্রেরণা, মগজ ধোলাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংগৃহীত Tagged With: অধ্যাপক, একটি সুন্দর সম্পর্ক, গভীর প্রেম, প্রেম, প্রেমিকা, বিশ্ববিদ্যালয়, ভালোবেস, শিস

ইসলাম আমাদের নৈতিকতা শেখায়, প্রতিশোধস্পৃহা নয়

অক্টোবর ১৭, ২০২১ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

আবেগ দিয়ে উৎসাহ উদ্দিপনা বৃদ্ধি পায় কাজে জোর আসে, কিন্তু বিবেক দিয়ে তা সম্পাদন করতে হয়!

ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত, কোরআনের অবমাননা আমাদের ব্যথিত করে। আমাদের হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হয়। কিন্তু এর জবাবে আমাদের কী করা উচিৎ। ওদের গর্দান ফেলে দেয়া? প্রতিমা ভাঙচুর করা? ওদের ঘর বাড়িতে আগুন দেয়া?

উত্তর খোঁজার জন্য চলুন একটা হাদিস দেখি –

  • আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, একদিন এক বেদুইন দাঁড়িয়ে মসজিদে প্রস্রাব শুরু করল। উপস্থিত লোকজন দেখে তাকে বাধা দিতে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রিয় নবী (সা.) তাদের বললেন, ওকে ছেড়ে দাও। ওর প্রস্রাব শেষ হলে এক বালতি পানি ঢেলে দিয়ো। (বুখারী-২১৯)

এটা রাসূলের সামনে জঘন্য অপরাধ ছিলো না? রাসূল কি তার গর্দান ফেলে দিয়েছেন? না! তা করেননি বরং তিনি বলেছেন-

  • নিশ্চিতভাবে জেনে রেখো, তোমাদের সহজ ও বিনয়ী আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়েছে, কঠোরতা বা উগ্রতার জন্য পাঠানো হয়নি। (বুখারী-২২০)

তাহলে আপনি কেন ওনাদের প্রতিমা ভাঙতে যাবেন? কেন ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে যাবেন?
আপনি কি রাসূলের চেয়েও বড় ধর্মপ্রচারক হয়ে গেছেন?

প্রশাসনকে জানান। পারলে আপনার জায়গা থেকে প্রশাসন কে সাহায্য করুন। আর বাকিটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন। কারণ আল্লাহ বলেছেন,

  • নিশ্চয়ই আমিই কোরআন নাজিল করেছি এবং অবশ্যই আমিই তা সংরক্ষণ করব।
    (সুরা-১৫ [৫৪] হিজর, আয়াত: ৯)

বিঃদ্রঃ আবেগ দিয়ে ধর্ম চালাতে গিয়ে নিজ ধর্মকে অন্যের কাছে কলুষিত করবেন না। আপনার নবী আপনাকে কোমলতা শিখিয়ে গিয়েছেন।

কোন মন্দিরে হা*ম*লা তো বহুদূর, মূর্তিকে গালি দেওয়া পর্যন্ত ইসলামে নিষেধ করেছে।
আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,,,

وَلَا تَسُبُّوا الَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَيَسُبُّوا اللّٰهَ عَدْوًا بِۢغَيْرِ عِلْمٍ
‘হে ঈমানদারগণ! তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব দেবদেবীর পূজা-উপাসনা করে, তোমরা তাদের গালি দিও না। যাতে করে তারা শিরক থেকে আরো অগ্রসর হয়ে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিয়ে না বসে।
(সূরা আনআম: ১০৮)

বিশ্বনবী (সা.) বলেন, ‘

কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব। ’
(সুনানে আবু দাউদ : ৩০৫২)

নবী (সা.) আরও বলেন, ‘

অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেই ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে। ’
(সহিহ বোখারি : ৩১৬৬)

বিশ্বনবী সা: বলেন,

যুদ্ধকালীন সময়ে বা যুদ্ধের পর কোনো মন্দির-গীর্জা-উপাসনালয় ভেঙে ফেলবে না।
(মুসান্নাফ আবি শায়বা : ৩৩৮০৪)

মুহাম্মদ (সা.) আরও বলেন,

যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।
(সুনানে আবু দাউদ : ৫১২৩)

উস্কানীতে পা দেবেন না। আগে পবিত্র কোরআন, হাদিছ জানুন, পড়ুন, সঠিক ব্যাখ্যা বুঝুন। ধর্মীয় উগ্রবাদ কখনোই ইসলাম সমর্থন করেন না। 

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: অফার, ইসলাম, জনসচেতনতা, জানা অজানা, জেনে নিন, ধর্ম, নব দিগন্ত, প্রেরণা, মগজ ধোলাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংগৃহীত Tagged With: আবেগ, কোরআন অবমাননা, কোরআনের অবমাননা, ধর্ম, ধর্মীয় মূল্যবোধ, বুখারী

মৃত্যু নিয়ে এতো সুন্দর লেখা আগে পড়িনি, একটু পড়েই দেখুন না।

সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১ by Enamul Hoque Leave a Comment (Edit)

পরলোকগত কুয়েতী লেখক আব্দুল্লাহ যারাল্লাহ’র মৃত্যুর আগে লিখে যাওয়া কিছু অনুভূতি –

“মৃত্যু নিয়ে আমি কোনো দুশ্চিন্তা করবো না, আমার মৃতদেহের কি হবে সেটা নিয়ে কোন অযথা আগ্রহ দেখাবো না। আমি জানি আমার মুসলিম ভাইয়েরা করণীয় সবকিছুই যথাযথভাবে করবে।”

  • তারা প্রথমে আমার পরনের পোশাক খুলে আমাকে বিবস্ত্র করবে
  • আমাকে গোসল করাবে
  • (তারপর) আমাকে কাফন পড়াবে
  • আমাকে আমার বাসগৃহ থেকে বের করবে
  • আমাকে নিয়ে তারা আমার নতুন বাসগৃহের (কবর) দিকে রওনা হবে
  • আমাকে বিদায় জানাতে বহু মানুষের সমাগম হবে
  • অনেক মানুষ আমাকে দাফন দেবার জন্য তাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম কিংবা সভার সময়সূচী বাতিল করবে

কিন্তু দুঃখজনকভাবে অধিকাংশ মানুষ এর পরের দিনগুলোতে আমার এই উপদেশগুলো নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করবে না।

  • আমার (ব্যক্তিগত) জিনিষের উপর আমি অধিকার হারাবো
  • আমার চাবির গোছাগূলো
  • আমার বইপত্র
  • আমার ব্যাগ
  • আমার ‍জুতোগুলো

হয়তো আমার পরিবারের লোকেরা আমাকে উপকৃত করার জন্য আমার ব্যবহারের জিনিসপত্র দান করে দেবার বিষয়ে একমত হবে। তবে এ বিষয়ে তোমরা নিশ্চিত থেকো যে, এই দুনিয়া তোমার জন্য দু:খিত হবে না অপেক্ষাও করবে না।

  • এই দুনিয়ার ছুটে চলা এক মুহূর্তের জন্যও থেমে যাবে না
  • অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা ব্যবসাবাণিজ্য সবকিছু চলতে থাকবে
  • আমার দায়িত্ব (কাজ) অন্য কেউ সম্পাদন করা শুরু করবে
  • আমার ধনসম্পদ বিধিসম্মত ভাবে আমার ওয়ারিসদের হাতে চলে যাবে
  • অথচ এর মাঝে এই সম্পদের জন্য আমার হিসাব-নিকাশ আরম্ভ হয়ে যাবে
  • ছোট এবং বড়….অনুপরিমাণ এবং কিয়দংশ পরিমান (সবকিছুর হিসাব)

আমার মৃত্যুর পর সর্বপ্রথম যা (হারাতে) হবে, তা আমার নাম!!! কেননা, যখন আমি মৃত্যুবরণ করবো, তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলবে, কোথায় “লাশ”? কেউ আমাকে আমার নাম ধরে সম্বোধন করবে না।

  • যখন তারা আমার জন্য (জানাযার) নামাজ আদায় করবে, বলবে, “জানাযাহ” নিয়ে আসো,
  • তারা আমাকে নাম ধরে সম্বোধন করবে না….!
  • আর, যখন তারা দাফন শুরু করবে বলবে, মৃতদেহকে কাছে আনো, তারা আমার নাম ধরে ডাকবে না…!

দুনিয়ায় আমার বংশপরিচয়, আমার গোত্র পরিচয়, আমার পদমযার্দা, এবং আমার খ্যাতি কোনকিছুই আমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে। এই দুনিয়ার জীবন কতই না তুচ্ছ, আর, যা কিছু সামনে আসছে তা কতই না গুরুতর বিষয়…

অতএব, (শোন) তোমরা যারা এখনো জীবিত আছো,….জেনে রাখো, তোমার (মৃত্যুর পর) তোমার জন্য তিনভাবে দু:খ করা হবে,

১. যারা তোমাকে বাহ্যিক ভাবে চিনতো, তারা তোমাকে বলবে হতভাগা।

২. তোমার বন্ধুরা বড়জোর তোমার জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন দু:খ করবে, তারপর, তারা আবার গল্পগুজব বা হাসিঠাট্টাতে মত্ত হয়ে যাবে।

৩. যারা খুব গভীর ভাবে দু:খিত হবে, তারা তোমার পরিবারের মানুষ, তারা এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ, একমাস, দুইমাস কিংবা বড় জোর একবছর দু:খ করবে। এরপর, তারা তোমাকে স্মৃতির মণিকোঠায় যত্ন করে রেখে দেবে!!!

মানুষদের মাঝে তোমাকে নিয়ে গল্প শেষ হয়ে যাবে, অত:পর, তোমার জীবনের নতুন গল্প শুরু হবে, আর, তা হবে পরকালের জীবনের বাস্তবতা।

তোমার নিকট থেকে নি:শেষ হবে (তোমার):

  • সৌন্দর্য্য
  • ধনসম্পদ
  • সুস্বাস্থ্য
  • সন্তান-সন্তদি
  • বসতবাড়ি
  • প্রাসাদসমূহ
  • জীবনসঙ্গী

তোমার নিকট তোমার ভালো অথবা মন্দ আমল ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। শুরু হবে তোমার নতুন জীবনের বাস্তবতা। আর, সে জীবনের প্রশ্ন হবে: তুমি কবর আর পরকালের জীবনের জন্য এখন কি প্রস্তুত করে এনেছো?

*ব্স্তুত: এই জীবনের বাস্তবতা সম্পর্কে তোমাকে গভীর ভাবে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন,*

এজন্য ‍তুমি যত্নবান হও,

  • ফরজ ইবাদতগুলোর প্রতি
  • নফল ইবাদতগুলোর প্রতি
  • গোপন সাদাকাহ’র প্রতি
  • ভালো কাজের প্রতি
  • রাতের নামাজের প্রতি

যেন তুমি নিজেকে রক্ষা করতে পারো….এই লিখাটির মাধ্যমে তুমি মানুষকে উপদেশ দিতে পারো, কারণ তুমি এখনো জীবিত আছো, এর ফলাফল আল্লাহ’র ইচ্ছায় তুমি কিয়ামত দিবসে মিজানের পাল্লায় দেখতে পাবে।

আল্লাহ বলেন: ((আর স্মরণ করিয়ে দাও, নিশ্চয়ই এই স্মরণ মুমিনদের জন্য উপকারী))

তুমি কি জানো কেন মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ প্রদানের আকাঙ্খা করবে, যদি আর একবার দুনিয়ার জীবনে ফিরতে পারতো?

আল্লাহ বলেন: ((হে আমার রব! যদি তুমি আমাকে আর একটু সুযোগ দিতে দুনিয়ার জীবনে ফিরে যাবার, তাহলে আমি অবশ্যই সাদাকাহ প্রদান করতাম….))

তারা বলবে না,

  • উমরাহ পালন করতাম
  • অথবা, সালাত আদায় করতাম
  • অথবা, রোজা রাখতাম

আলেমগণ বলেন: মৃতব্যক্তিরা সাদাকাহ’র কথা বলবে, কারণ তারা সাদাকাহ প্রদানের ফলাফল তাদের মৃত্যুর পর দেখতে পাবে,

আর, গুরুত্ববহ এই সাদাকাহ’র কাজটি তুমি এই কথাগুলো ছড়িয়ে দিয়ে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করে করতে পারো, যদি তোমার উদ্দেশ্য হয় এর মাধ্যমে মানুষকে উপদেশ প্রদান করা। কারণ, উত্তম কথা হল এক ধরণের সাদাকাহ।।।

জাযাকাল্লাহ।

Related Images:

Enamul Hoque
www.bn.bdtopten.com/author/ehoque/

Filed Under: অফার, ইসলাম, জনসচেতনতা, জানা অজানা, জেনে নিন, ধর্ম, নব দিগন্ত, প্রেরণা, সংগৃহীত Tagged With: উত্তম কথা

জান্নাতের আনন্দ নিঁখুত, নিখাদ।

আগস্ট ২৩, ২০২১ by Enamul Hoque Leave a Comment (Edit)

?❤️? জীবনের একটা সময় নিঃসঙ্গতা ঘিরে ধরে। সে সময় বিয়ে করতে না পারার যন্ত্রণায় ছেলে-মেয়েরা মুখ কালো করে ঘুরে বেড়ায়। কী যে কষ্ট, কত যে কষ্ট, কেউ বোঝে না।

একটা সময় বহুল আকাঙ্ক্ষিত বিয়ে হয়। কয়দিন পরে বোঝা যায়, বিয়ের সাথেও আরও কত দুঃখ-জ্বালা-সমস্যা টেনে আনা হল।

বিয়ে না হলে এই সমস্যাগুলো তৈরিই হত না।

দুনিয়ার জীবনে বাচ্চা না হলে মানুষ হা-হাকার করে। আবার বাচ্চা হলেও দিনরাত দুশ্চিন্তা, বাচ্চাকে বড় করার, ঠিকভাবে মানুষ করার।

  • বাচ্চার রোগ-বালাই হয়, অসুস্থ বাচ্চাকে নিয়ে বাবা-মায়ের মন ভার হয়ে থাকে।
  • বাচ্চার বিয়ে-শাদি হয় না, বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার অন্ত থাকে না।
  • বাচ্চা বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়, তখন সারাজীবন সন্তানের জন্য খেটে মরা বাবা-মাদের কেমন লাগে?

বাচ্চা না থাকলে কিন্তু এসব কষ্ট জীবনে থাকতই না।

মানুষের জীবনের কোনো আনন্দই পরিপূর্ণ না, সেখানে একটুখানি কষ্ট, যন্ত্রণা বা ভয়ের মিশেল থাকবেই।

জান্নাতের আনন্দ নিঁখুত, নিখাদ।

  • অতি যত্ন নিয়ে সে জান্নাত তৈরি করা হয়েছে।
  • সেখানে বিন্দুমাত্র কষ্ট নেই। আনন্দের মধ্যে হালকা পাতলা ব্যথাও লুকিয়ে নেই।
  • সেখানকার সুখ পরিপূর্ণ সুখ।
  • অন্তর ভরে দেওয়া সুখ।
  • সেই সুখ কখনও কমে না, খালি বাড়তেই থাকে। বাড়তেই থাকে।

আমরা যতই বোকা হই, বা ইসলামি জ্ঞানের দিক থেকে মূর্খ হই না কেন, জান্নাতের সুখের কথা সবাই টের পাই। তাই ছেলে-বুড়ো সবাই জান্নাতে যেতে একপায়ে খাড়া।

কিন্তু আমরা জান্নাতের জন্য কিছুই ছাড়তে রাজি না। পরীক্ষা আমাদের চিরজনমের শত্রু, অথচ পরীক্ষা পাশের পুরস্কার পেতে আগ্রহের কমতি নেই। কীভাবে পুরস্কার পাব যদি পরীক্ষাই না দিই?

কীভাবে জান্নাতে যাব, যদি দুনিয়াতেই হার মেনে নিই?

আল্লাহ বলেছেন, ঈমান এনেছি বলার পর মানুষকে পরীক্ষা নেওয়া হবেই হবে। তা না হলে কীভাবে জানা যাবে ঈমান সে সত্যিই এনেছে কিনা!

আল্লাহ মানুষের পরীক্ষা নেবেন ক্ষুধার কষ্ট, ভয়, ধন-সম্পদের ক্ষতির দ্বারা। মানুষের পরীক্ষা হবে দুঃখ দিয়ে, যন্ত্রণা দিয়ে, বুকের মাঝের ধুকপুকানি উদ্বেগ দিয়ে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।
{সুরা আল বাকারাহ আয়াত ১৫৫}

সে-ই ধৈর্য ধরতে পারবে যে জানে, এসবের বিনিময়ে তো জান্নাত!
চিরসুখের জান্নাত! যেখানের এক হাত জমিনের সুখগুলোই এই পৃথিবীর সমস্ত সুখের চেয়ে ঢের বেশি।

যদি সত্যিই জান্নাতে বিশ্বাস করে থাকি, যদি সত্যিই আল্লাহর কথায় ঈমান এনে থাকি, তাহলে দুঃখকে আর ভয় কীসের?

মৃত্যুর পরেই তো দুঃখ শেষ।
ওপারের জীবনেই তো সুখ!

আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের মেহমানদারি করতে মহান রব তো জান্নাতকে সাজিয়েই রেখেছেন.. ভয় কীসের কষ্টকে?

মাত্র কদিনেরই তো দুনিয়া, কদিনেরই তো কষ্ট।

 

Related Images:

Enamul Hoque
www.bn.bdtopten.com/author/ehoque/

Filed Under: অফার, ইসলাম, জনসচেতনতা, জানা অজানা, জেনে নিন, ধর্ম, নব দিগন্ত, প্রেরণা, ব্যবসা, মগজ ধোলাই, সুখি পরিবার Tagged With: জান্নাত, জান্নাতের আনন্দ

  • « Previous Page
  • 1
  • …
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • Next Page »

নামাজের সময়সূচী

    ঢাকা, বাংলাদেশ
    রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ওয়াক্তসময়
    ফজর5:25 AM
    সূর্যোদয়6:32 AM
    জোহর11:53 AM
    আসর3:37 PM
    মাগরিব5:13 PM
    ইশা6:20 PM

বিভাগসমূহ

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • এই ৯ মিনিট আপনার সন্তানের জন্য ভীষণ প্রয়োজন
  • আবোল তাবোল রাজনীতি – পার্ট ২
  • সংখ্যা অনুপাতিক নির্বাচন ও এর সুফল
  • আমার আয়না ঘর দর্শন
  • কি দেখে পুরাতন/ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনব?
  • আবোল তাবোল রাজনীতি
  • ফলো টু ফলো – Follow to Follow
  • বি.ডি.এস. পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন।
  • আমি আজও বুঝলাম না আমার ডিভোর্সের আসল কারণ কি?
  • কিছু নির্মম ইতিহাস – Tasrif Khan
  • কেউ সুখে না রাখলে কি সুখি হওয়া যায়?
  • Sarjis Alam ভাইয়ের ২০২১ সালের পোস্ট
  • আমার গুমের গল্প।ভিক্টিম: মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী!
  • পাপের নগদ শাস্তি
  • যে ভালোবাসে তাকেই পাশে রাখ।
  • ছাদবাগান থেকেই আসবে প্রয়োজনীয় সবজি
  • A গ্রেড অথবা B গ্রেড টাইলস চেনার উপায় কি?
  • আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে?
  • প্রচন্ড গরমে বিল্ডিং বা পাকা বাড়িতে AC ছাড়াই ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে একটি পরামর্শ
  • এসি-ফ্যান একসাথে চালালে ঘর ঠান্ডা হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ বাঁচে?

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় সুমাইয়া
  • অনলাইনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং পেনশন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশনায় মোঃ শরিফুল ইসলাম
  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় পান্না দাশ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ

অনুসন্ধান করুন

বিভাগসমূহ

স্বাস্থ্য টিপস

কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেছে। সবাই বুঝতেছে। সরকার মানছেনা।

সবাই বুঝতেছে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেছে। তবুও সরকার মানছেনা। অনেকটা এরকম, গর্ভবতী নারীর পেটে টিউমার বলে চালিয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা! প্যানিক ছড়ানোর কিছু নাই। কর্তা মশাই সত্যটা বলুন। মানুষের সহযোগিতা বেশি মিলবে। তারা নিজে থেকে সতর্ক হবে। কেবল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামটা নিয়ন্ত্রণ করুন। দিন আনে দিন খায়, তাদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করুন। চীন কিন্তু একই ভুল করেছিল প্রথমে। জেনে বুঝে করোনাকে গোপন করতে […]

Copyright © 2025