বিডি টপ টেন

বিডি টপ টেন

আজকের দিন-তারিখ-সময়
আজ ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল | ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
২২শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার | সকাল ৮:২১
  • হোম
  • ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস
  • অফার
  • জোকস
  • স্বাস্থ্য টিপস
  • তারকা সংবাদ
  • ধর্ম
    • ইসলাম
  • জনসচেতনতা
  • নব দিগন্ত
  • জানা অজানা
  • সংগৃহীত

সিয়াম বা রোজা সম্পর্কিত জরুরী কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর

মে ২৯, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

প্রশ্ন : সিয়ামের শাব্দিক অর্থ কি?
উত্তর : সিয়ামের শাব্দিক অর্থ বিরত থাকা। ফার্সী ভাষায় এটাকে রোযা বলা হয়।

প্রশ্ন : রামাদ্বান মাসের সিয়ামের হুকুম কি?
উত্তর : রামাদ্বানের রোজা ফরজ।

প্রশ্নঃ কত হিজরীতে সিয়াম বা রোজা ফরয হয়?
উত্তরঃ ২য় হিজরীতে।

প্রশ্নঃ সিয়াম ফরয হওয়ার কথা কুরআন শরীফের কোন সূরার কত নং আয়াতে উল্লেখ হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারা ১৮৩ নং আয়াত।

প্রশ্নঃ সিয়াম ইসলামের কত নম্বর স্তম্ভ?
উত্তরঃ চতুর্থ।

প্রশ্নঃ কোন আমলের বিনিময়ে মানুষকে রাইয়্যান নামক দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে?
উত্তরঃ সিয়াম।

প্রশ্নঃ রোযদারকে একটি বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। দরজাটির নাম কি?
উত্তরঃ রাইয়্যান।

প্রশ্নঃ বছরের কোন মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়?
উত্তরঃ রামাদ্বান মাসে।

প্রশ্নঃ বছরের কোন মাসে জান্নাতের দরজা খোলা রাখা হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ রাখা হয়?
উত্তরঃ রামাদ্বান মাসে।

প্রশ্নঃ ফরয সিয়ামের জন্য কখন নিয়ত করতে হয়?
উত্তরঃ ফজরের পূর্বে।

প্রশ্নঃ সিয়াম পালকারীর কখন সাহুর (সেহরি) খাওয়া মুস্তাহাব?
উত্তরঃ শেষ রাতে।

প্রশ্নঃ কোন বস্তু দিয়ে ইফতার করা সুন্নাত।
উত্তরঃ টাটকা খেজুর না পেলে যে কোন খেজুর, তা না পেলে পানি দ্বারা।

প্রশ্নঃ রোযাদারের মেসওয়াক করার হুকুম কী?
উত্তরঃ সুন্নাত।

প্রশ্নঃ সফর যদি আরাম দায়ক হয়- কষ্ট না হয়, তবে রোযা ভঙ্গের হুকুম কি?
উত্তরঃ রোযা ভঙ্গ করা জায়েয। তবে রাখা উত্তম।

প্রশ্নঃ নারীদের কোন্ অবস্থায় রোযা ভঙ্গ করা ওয়াজিব?
উত্তরঃ ঋতু বা নেফাস হলে?

প্রশ্নঃ বছরের কোন কোন দিন রোযা রাখা হারাম?
উত্তরঃ দুঈদের দিন এবং আইয়্যামে তাশরীক (জিলহজ্জ মাসের ১১, ১২, ১৩ তারিখ)

প্রশ্নঃ কোন কাজ করলে রোযা ভঙ্গ হয় এবং কাফ্ফারা স্বরূপ দুমাস রোযা রাখতে হয় অথবা ৬০ মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করতে হয়?
উত্তরঃ রামাদ্বান রোযা রেখে স্ত্রী সহবাস করলে।

প্রশ্নঃ কোন অবস্থায় রামাদ্বানের দিনে পানাহার করলেও রোযা ভঙ্গ হবে না?
উত্তরঃ ভুলক্রমে পানাহার করলে।

প্রশ্নঃ মাহে রামাদ্বানের পর সর্বোত্তম নফল সিয়াম কোনটি?
উত্তরঃ আশুরার রোযা।

প্রশ্নঃ আশুরার রোযা রাখার ফযীলত কি?
উত্তরঃ এর মাধ্যমে বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ হয়।

প্রশ্নঃ আশুরার রোযা কমপক্ষে কয়টি রাখা সুন্নাত?
উত্তরঃ ২টি, মুহাররমের ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ তারিখ।

প্রশ্নঃ কোন নবী সারা বছর একদিন রোযা রাখতেন একদিন ছাড়তেন?
উত্তরঃ দাউদ (আঃ)।

প্রশ্নঃ কোন রোযা রাখলে সারা বছর রোযা রাখার ছওয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ শাওয়াল মাসের ৬টি রোযা।

প্রশ্নঃ কোন্ রোযার বিনিময়ে বিগত এবং আগত দুবছরের গুনাহ মাফ হয়?
উত্তরঃ আরাফাত দিবসের রোযা।

প্রশ্নঃ আইয়্যামে বিযের রোযা কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩,১৪, ১৫ তারিখের রোযাকে।

প্রশ্নঃ সপ্তাহের কোন কোন দিন রোযা রাখা সুন্নাত?
উত্তরঃ সোমবার ও বৃহস্পতিবার।

প্রশ্নঃ যে লোক নামায পড়ে না তার রোযার বিধান কী?
উত্তরঃ বাতিল, কেননা নামায ছাড়া রোযা জায়েয নয়।

প্রশ্নঃ লায়লাতুল কাদর কখন হয়?
উত্তরঃ রামাদ্বানের শেষ দশকের যে কোন বেজোড় রাতে।

প্রশ্নঃ লায়লাতুল কাদরের ফযীলত কি?
উত্তরঃ এক রাতের ইবাদত এক হাজার মাস ইবাদতের চাইতে উত্তম।

প্রশ্নঃ তারাবীর নামায আদায় করার হুকুম কি?
উত্তরঃ সুন্নাতে মুআক্কাদাহ

প্রশ্নঃ নবী সাল্লাল্লা আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতদিন তারাবীর নামায আদায় করেছিলেন?
উত্তরঃ তিন দিন।

প্রশ্নঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন দিন তারাবীর নামায আদায় করার পর, আর কেন জামাতে আদায় করেন নি?
উত্তরঃ ফরয হয়ে যাওয়ার ভয়ে।

প্রশ্নঃ কখন থেকে পুনরায় তারাবীর নামায জামাতের সাথে পড়া চালু হয়?
উত্তরঃ হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফত কালে।

প্রশ্নঃ তারাবীর নামায কয় রাকাত আদায় করা সুন্নাত?
উত্তরঃ বিতরসহ ২৩ রাকাত।

প্রশ্নঃ তারাবীর নামায বিশ রাকাত এর কম আদায় করার হুকুম কি?
উত্তরঃ জায়েয, তবে বিশ রাকাতই উত্তম।

প্রশ্নঃ কাদের উপর রামাদ্বানের সিয়াম পালন করা ফরজ?
উত্তরঃ (১) প্রাপ্ত বয়স্ক, (২) সুস্থ বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন, (৩) মুকীম ও সমর্থবান এমন সব গুণ সম্পন্ন প্রত্যেক মুসিলম নর-নারীর উপর রামাদ্বানের সিয়াম পালন করা ফরজ।

প্রশ্নঃ কী অবস্থায় কাদের উপর রামাদ্বানের সিয়াম ফরজ নয়?
উত্তরঃ দশ প্রকার মানুষের উপর রামাদ্বানের সিয়াম পালন করা ফরজ নয়, তারা হলেন,,, [১] অমুসলিম [২] অপ্রাপ্ত বয়স্ক/ অর্থাৎ নাবালেগ [৩] পাগল [৪] এমন বৃদ্ধলোক যে ভালমন্দ পার্থক্য করতে পারে না [৫] এমন বৃদ্ধ ব্যক্তি যে রোযা রাখতে সমর্থ নয়। বা এমন রোগী যার রোগমুক্তির সম্ভাবনা নেই। এমন ব্যক্তিদের উপর ফিদইয়া দেয়া ওয়াজিব। [৬] মুসাফির [৭] রোগাক্রান্ত ব্যক্তি [৮] ঋতুবতী মহিলা [৯] গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারী [১০] দুর্ঘটনায় পতিত বা বিপদগ্রস্ত লোককে রক্ষাকারী ব্যক্তি।

 

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: ইসলাম

শ্বাশুড়ী

মে ২৮, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

একটি মেয়ে তার বাবার কাছে গিয়ে নালিশ করে বললঃ- বাবা,এ তুমি কেমন ঘরে আমার বিয়ে দিয়েছো ??

বাবাঃ- কেন কি হয়েছে, জামাই কি খারাপ ব্যবহার করেছে ?
মেয়েঃ- তোমার জামাই তো দুই মাস পর পর বাড়ি আসে। সমস্যার কারণ তো আমার শ্বাশুড়ী। সারাদিন বলে শুধু বৌমা এটা করো, বৌমা ওটা করো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধুই খিট খিট করে যান। আমার একটুও ভালো লাগে না।
বাবাঃ- আরে এই বয়সে মানুষ একটু এই রকম ই করেন।
মেয়েঃ- না বাবা, ঐ বুড়ি যতদিন পর্যন্ত না মরছে, আমি আর ঐ বাড়িতে ফিরে যাবো ই না।
বাবাঃ- এই রকম কথা বলতে নেই মা।
মেয়েঃ- তুমি তো ডাক্তার,এমন একটা কিছু ওষুধ দাও যাতে ঐ বুড়ি খুব তারাতারি মরে যায়।
বাবাঃ- আমি ডাক্তার, কসাই নয়,এ কাজ আমি করতে পারবো না।
মেয়েঃ- বাবা তুমি কি চাও না তোমার মেয়ে সুখে সংসার করুক ?
বাবাঃ- ( একটু চিন্তা করার পর)ঠিক আছে মা, তোর মুখের দিকে তাকিয়েই আজ আমি এই কাজ করছি,তোকে আমি একটা ওষুধ দিচ্ছি। এই ওষুধ টা নিয়মিত প্রতিদিন দুই ফোটা করে গরম দুধের সাথে খাওয়াবি। দেখবি এক মাসের মধ্যেই তোর শ্বাশুড়ী মারা যাবে। তবে এই এক মাস তুই তোর শ্বাশুরীর খুব সেবা করবি,এটা আমাকে কথা দে।
মেয়েঃ- ঠিক আছে বাবা, কথা দিলাম।

মেয়ে ঔষধ নিয়ে আনন্দের সাথে শ্বশুড় বাড়ি চলে গেল। গিয়েই তার শ্বাশুড়ীকে মন দিয়ে সেবা করতে লাগলো আর নিয়মিত ওষুধ দিতে থাকলো।

পাঁচ দিন পর শ্বাশুড়ী লক্ষ করলেন যে তার বৌমা আর আগের মত নেই। এখন সে তার আর তার কোন কথার ই অবাধ্য হয় না। আগের মত আর তার উপর বিরক্ত হয় না। আর খুবই বেশি সেবা করছে।

২০দিন পর শ্বাশুরী তার বৌমাকে নিজের মেয়ের মত ভালবাসতে লাগলো। তখন তিনি নিজেই বৌমার জন্য স্পেশাল মেনু বানিয়ে খাওয়ালেন।

বৌমাকে আর আগের মত কোন কাজের জন্য না বলে সেই কাজটা নিজেই সেরে নিতেন। বৌমার ঘুম ভাঙার অপেক্ষা না করে নিজেই চা বানিয়ে বৌমার কাছে গিয়ে বৌমার ঘুম ভাঙিয়ে তার সামনে চায়ের কাপটা এগিয়ে দিয়ে বললেনঃ- বৌমা চা খাও,দেখো আমি তোমার জন্য বানিয়েছি।

বৌমাঃ- কেন, মা আপনি আমাকে ডাকতে পারতেন তো।
শ্বাশুড়ীঃ- কি যে বলো বৌমা, তুমি সারাদিন ধরে এত খেটে আমার সেবা করছো আর আমি এই টুকু করতে পারবো না ??

দিনটা ছিল ২৭ তম।

এত দিনে শ্বাশুড়ী বৌমার সম্পর্ক টা মা ও মেয়ের সম্পর্কে পরিনত হয়ে গেছে। তখন মেয়েটি তার বাবার কাছে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এসে বললঃ- বাবা তুমি আমার শ্বাশুরী মাকে বাঁচাও। আর মাত্র তিন দিন বাকি। আমি চাই না যে আমার শ্বাশুরী আমাকে ছেড়ে চলে যাক। উনি যে ঠিক আমার মায়ের মত।

বাবাঃ- চোখের জল মুছে ফেল মা। আমি জানতাম একদিন তুই তোর ভুল ঠিকই বুঝবি, তাই আমি তোকে কোনো বিষ দিইনি ঐ ওষুধে তোর শ্বাশুরীর কোন ক্ষতি হবে না। বরং ঐ ওষুধ খেলে শরীরে পুষ্টি হবে। যা মা সুখের সংসার কর।

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, মগজ ধোলাই, সংগৃহীত

বোকারা কখনোই শিখে না!

মে ২৩, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

সেলুনে এক ভদ্রলোক চুল কাটাচ্ছিলেন। নাপিত তাঁকে ফিসফিস করে বললো, ” ঐ যে পিচ্চি পোলাডা আছে, ঐডার মতন বোকা আর নাই!”

ব্যপারটা প্রমাণ করতে ভদ্রলোকের সামনেই নাপিত পকেট থেকে একটা পাঁচ টাকার নোট আর একটা এক টাকার কয়েন বের করে ছেলেটিকে ডাকলো, “ঐ পিচ্চি, কোনডা নিবি?”

ছেলেটি এক টাকার কয়েন বেছে নিল।

নাপিত হাসতে হাসতে ভদ্রলোককে বললো, “কইছিলাম না?! বোকারা কখনোই শিখে না!”

চুল কাটা শেষে ভদ্রলোক সেলুন থেকে বের হয়ে দেখলেন ছেলেটা আইসক্রিম খাচ্ছে। তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ” এই পোলা! তুই প্রত্যেকদিন পাঁচ টাকা থুইয়া এক টাকার কয়েন নেস কেন?? ”

ছেলেটা আইসক্রিম খেতে খেতে জবাব দিল,

“কারন, যেইদিন আমি পাঁচ টেকা নিমু, সেইদিনই এই খেলা শেষ হইয়া যাইবো!”

মন্তব্যঃ নিজেকে সব সময় সঠিক ও বুদ্ধিমান না ভেবে, আসুন কখনো কখনো পিছনের কারন গুলো একটু যাচাই করি।

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, জানা অজানা, জেনে নিন, প্রেরণা, মগজ ধোলাই, রম্য রস, সংগৃহীত Tagged With: বুদ্ধিমান, বোকারা কখনোই শিখে না!, সঠিক ও বুদ্ধিমান

মাগফার উদ্দিন চৌধুরী আজাদ – আমাদের অহংকার

মে ১৯, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

এই কাহিনী এখন অনেকেরই জানা। কিন্তু জানা হলেও এই কাহিনী কখনো পুরনো হওয়ার নয়। মা-মাটিকে ভালোবেসে ‍অকাতরে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা বীর আজাদের পুরো নাম মাগফার উদ্দিন চৌধুরী। জন্ম ১১ জুলাই, ১৯৪৬। ধনী পরিবারের সন্তান ছিলেন আজাদ। তবে ধন-দৌলতে কাটেনি তার পুরো জীবন।


আজাদ ক্লাস সিক্সে পড়ে, সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে। ১৯৬০ এর দশক। আজাদের বাবা আরেকটা বিয়ে করবেন। আজাদের মা বললেন, তুমি বিয়ে করবে না, যদি করো, আমি একমাত্র ছেলে আজাদকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাব। আজাদের বাবা আরেকটা বিয়ে করলে আজাদের মা সাফিয়া তার বালকপুতের হাত ধরে ওই রাজপ্রাসাদ পরিত্যাগ করেন এবং একটা পর্ণকুটীরে আশ্রয় নেন। ছেলেকে লেখাপড়া শেখান। আজাদ ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করে।

তার বন্ধুরা যোগ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে, ফিরে এসেছে আগরতলা থেকে, ট্রেনিং নিয়ে। তার ঢাকায় গেরিলা অপারেশন করে। বন্ধুরা আজাদকে বলল, চল, আমাদের সাথে, অপারেশন করবি। তুই তো বন্দুক পিস্তল চালাতে জানিস। তোর আব্বার তো বন্দুক আছে, পিস্তল আছে, তুই সেগুলো দিয়ে অনেকবার শিকার করেছিস।

আজাদ বলল, এই জগতে মা ছাড়া আমার কেউ নেই, আর মায়েরও আমি ছাড়া আর কেউ নেই। মা অনুমতি দিলেই কেবল আমি যুদ্ধে যেতে পারি।
মাকে আজাদ বলল, মা, আমি কি যুদ্ধে যেতে পারি?
মা বললেন, নিশ্চয়ই, তোমাকে আমার প্রয়োজনের জন্য মানুষ করিনি, দেশ ও দশের জন্যই তোমাকে মানুষ করা হয়েছে।

আজাদ যুদ্ধে গেল।
দুটো অপারেশনে অংশ নিল। তাদের বাড়িতে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা হলো। গেরিলারা আশ্রয় নিল।
১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট। ধরা পড়ে ক্র্যাক প্লাটুনের একদল সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। সেসময় আজাদকেও আটক করা হয়। তাকে ধরে নিয়ে রাখা হলো রমনা থানা সংলগ্ন ড্রাম ফ্যাক্টরি সংলগ্ন এম.পি হোস্টেলের মিলিটারি টর্চার সেলে।

গরাদের ওপারে দাড়িয়ে থাকা আজাদকে তার মা চিনতে পারেন না। প্রচণ্ড মারের চোটে চোখমুখ ফুলে গেছে, ঠোঁট কেটে ঝুলছে, ভুরুর কাছটা কেটে গভীর গর্ত হয়ে গেছে।

–“মা, কি করব? এরা তো খুব মারে। স্বীকার করতে বলে সব। সবার নাম বলতে বলে।“
–“বাবা, তুমি কারোর নাম বলোনি তো?
–না মা, বলি নাই। কিন্তু ভয় লাগে, যদি আরও মারে, যদি বলে দেই…
–বাবারে, যখন মারবে, তুমি শক্ত হয়ে থেকো। সহ্য করো। কারো নাম বলো না।
–আচ্ছা মা। ভাত খেতে ইচ্ছে করে। দুইদিন ভাত খাই না। কালকে ভাত দিয়েছিল, আমি ভাগে পাই নাই।
–আচ্ছা, কালকে যখন আসব, তোমার জন্য ভাত নিয়ে আসব।

সাফিয়া বেগমের ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গায়ে হাত তোলা তো দূরে থাক, ছেলের গায়ে একটা ফুলের টোকা লাগতে দেননি কোনোদিন। সেই ছেলেকে ওরা এভাবে মেরেছে… এভাবে…

মুরগির মাংস, ভাত, আলুভর্তা আর বেগুনভাজি টিফিন ক্যারিয়ারে ভরে পরদিন সারারাত রমনা থানায় দাড়িয়ে থাকেন সাফিয়া বেগম, কিন্তু আজাদকে আর দেখতে পাননি। তেজগাঁও থানা, এমপি হোস্টেল, ক্যান্টনমেন্ট-সব জায়গায় খুজলেন, হাতে তখন টিফিন ক্যারিয়ার ধরা, কিন্তু আজাদকে আর খুঁজে পেলেন না।

ছেলে একবেলা ভাত খেতে চেয়েছিলেন। মা পারেননি ছেলের মুখে ভাত তুলে দিতে। সেই কষ্ট-যাতনা থেকে পুরো ১৪টি বছর ভাত মুখে তুলেন নি মা! তিনি অপেক্ষায় ছিলেন ১৪ টা বছর ছেলেকে ভাত খাওয়াবেন বলে। বিশ্বাস ছিলো তাঁর আজাদ ফিরবে। ছেলের অপেক্ষায় শুধু ভাতই নয়, ১৪বছর তিনি কোন বিছানায় শোন নি। শানের মেঝেতে শুয়েছেন শীত গ্রীষ্ম কোন কিছুতেই তিনি পাল্টান নি তার এই পাষাণ শয্যা। আর এর মুল কারণ আজাদ রমনা থানায় আটককালে বিছানা পায়নি।

প্রজন্ম কিংবদন্তি আজাদদের চিনেনা, চিনে হলিউডের অ্যাকশন চলচ্চিত্র।
শেয়ার করে সবাইকে ইতিহাস’টি পড়ার সুযোগ করে দিন।
ভালো থাকুক জীবনের প্রেমগুলো। ভালো থেকো কিংবদন্তী।”

* লেখক – Anisul Hoque.

 

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: প্রেরণা

নিশ্চয়ই তিনি সর্বোত্তম অতিথিপরায়ণ

মে ১৫, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

ঘানার একটা গরীব গ্রাম। এক গরীব লোকের বাসায় । একদিন আকাশ থেকে কী যেন নেমে এল। যন্ত্রটা হাতে নিয়ে লোকটা তো অবাক !

কিছুক্ষণ পর দেখে এক সাংবাদিক এসে হাজির। সে তার ড্রোনটা ফেরত চাইছে। প্রৌঢ় লোকটা জিজ্ঞেস করল এর চেয়ে বড় সাইজের এমন কিছু কী আছে যা তাকে হজ্জে নিয়ে যেতে পারবে?

তুর্কী সাংবাদিক সেই ছবিটা টুইট করেছিলেন। তুরস্ক সরকার পরে আল-হাসান আব্দুল্লাহ নামের ওই লোকটার হজ্জের ব্যবস্থা করে।
আল্লাহ যাকে মেহমানদারী করতে চান তাকে এভাবেই ডেকে নিয়ে যান।

আপনি নিয়াত করুন। 

সামর্থ্য কম? 
প্রতিদিন দশটা করে টাকা জমান। এই টাকাটা আপনাকে হজে নিয়ে যাবে – এমনটা নয়। এটা হচ্ছে আপনার নিয়াত কতটা সিরিয়াস তার বহিঃপ্রকাশ। আপনার নিয়াতটা যদি বিশুদ্ধ হয় আল্লাহ আপনাকে তার ঘরে নিয়ে যাবেন। 

কেমন করে? 
সেই হিসাব আপনি করতে যাবেন না। 
আপনি খালি আল্লাহকে ডেকে বলেন, “আল্লাহ, আপনার ঘরটা তাওয়াফ করতে চাই।” 
তিনি ব্যবস্থা করবেন। 

নিশ্চয়ই তিনি সর্বোত্তম অতিথিপরায়ণ।

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: ইসলাম, ধর্ম Tagged With: হজ্জ

  • « Previous Page
  • 1
  • …
  • 32
  • 33
  • 34
  • 35
  • 36
  • …
  • 40
  • Next Page »

নামাজের সময়সূচী

    ঢাকা, বাংলাদেশ
    রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫
    ওয়াক্তসময়
    ফজর4:01 AM
    সূর্যোদয়5:12 AM
    জোহর12:00 PM
    আসর4:41 PM
    মাগরিব6:48 PM
    ইশা8:00 PM

বিভাগসমূহ

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • এই ৯ মিনিট আপনার সন্তানের জন্য ভীষণ প্রয়োজন
  • আবোল তাবোল রাজনীতি – পার্ট ২
  • সংখ্যা অনুপাতিক নির্বাচন ও এর সুফল
  • আমার আয়না ঘর দর্শন
  • কি দেখে পুরাতন/ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনব?
  • আবোল তাবোল রাজনীতি
  • ফলো টু ফলো – Follow to Follow
  • বি.ডি.এস. পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন।
  • আমি আজও বুঝলাম না আমার ডিভোর্সের আসল কারণ কি?
  • কিছু নির্মম ইতিহাস – Tasrif Khan
  • কেউ সুখে না রাখলে কি সুখি হওয়া যায়?
  • Sarjis Alam ভাইয়ের ২০২১ সালের পোস্ট
  • আমার গুমের গল্প।ভিক্টিম: মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী!
  • পাপের নগদ শাস্তি
  • যে ভালোবাসে তাকেই পাশে রাখ।
  • ছাদবাগান থেকেই আসবে প্রয়োজনীয় সবজি
  • A গ্রেড অথবা B গ্রেড টাইলস চেনার উপায় কি?
  • আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে?
  • প্রচন্ড গরমে বিল্ডিং বা পাকা বাড়িতে AC ছাড়াই ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে একটি পরামর্শ
  • এসি-ফ্যান একসাথে চালালে ঘর ঠান্ডা হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ বাঁচে?

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় সুমাইয়া
  • অনলাইনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং পেনশন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশনায় মোঃ শরিফুল ইসলাম
  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় পান্না দাশ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ

অনুসন্ধান করুন

বিভাগসমূহ

স্বাস্থ্য টিপস

যুগে যুগে মায়েরা এমনই ছিল, আছেন, থাকবেন।

বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের তখন শিশুকাল। একদিন এডিসন তাঁর মাকে একটি খাম দিয়ে বললেন, “আমার শিক্ষক আমাকে কাগজটি দিয়েছেন এবং শুধুমাত্র তোমাকেই দিতে বলেছেন।” মা চিঠিটি জোরে পড়া শুরু করলেন এবং তার চোখ ভর্তি পানি, “আপনার পুত্র মেধাবী। এই স্কুলটি তার জন্য অনেক ছোট এবং এখানে তাকে শেখানোর মত যথেষ্ট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই। দয়া করে আপনি নিজেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করুন।” তাঁর মা মারা […]

Copyright © 2025