বিডি টপ টেন

বিডি টপ টেন

আজকের দিন-তারিখ-সময়
আজ ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল | ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার | ভোর ৫:২৫
  • হোম
  • ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস
  • অফার
  • জোকস
  • স্বাস্থ্য টিপস
  • তারকা সংবাদ
  • ধর্ম
    • ইসলাম
  • জনসচেতনতা
  • নব দিগন্ত
  • জানা অজানা
  • সংগৃহীত

Sarjis Alam ভাইয়ের ২০২১ সালের পোস্ট

আগস্ট ১২, ২০২৪ by Rifat Chowdhury Leave a Comment (Edit)

২০১২ সালের কথা ৷ তখন ক্লাস নাইনে পড়ি ৷
ঘড়িতে সম্ভবত রাত ৯টার আশেপাশে !

আমি পড়ার টেবিলে ঝিমাচ্ছি ! মাঝে মাঝে চোখ বড় করে বইয়ের লেখাগুলা পড়ার চেষ্টা করছি ৷ আমার এই অবস্থা দেখে প্রতিদিনের মতো আম্মা বকাবকি করলো ৷ একটু পর এসে প্লেটে রাতের খাবার দিয়ে গেলো, যেন না খেয়ে ঘুমিয়ে না পড়ি ৷ আমি ওই অবস্থায় খাওয়া শুরু করলাম ৷ কিন্তু কখন যে খেতে খেতে ঘুমিয়ে পড়েছি সেটা মনে ছিল না ৷ ঘন্টা খানেক পরে আম্মা এসে দেখে – আমি টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছি, আমার একহাত খাবারের প্লেটে, অর্ধেকের বেশি খাবার তখনও বাকি !
মানে আমি খেতে খেতেও ঘুমিয়ে পড়েছি !🤭

স্কুলে থাকতে এজন্য রেগুলার আম্মার বকা খাওয়া লাগতো ৷ আমি ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঘুমাতাম ৷ ঘুমাতে না দিলে টেবিলে ঝিমাতাম ৷ পড়ি আর না পড়ি, কালে ভাদ্রে যদি ১০ পর্যন্ত জেগে থাকতে পারতাম তাহলে আম্মা অনেক খুশি হতো !
২/১টা পরীক্ষার আগে ১১টা পর্যন্ত জাগতাম ! আর ১২টা পর্যন্ত কখনো জেগে থাকা হয়নি !😁

বিপরীতে আমি প্রতিদিন সূর্যোদয় দেখতাম ৷ ৫টার পরে ঘুম থেকে উঠেছি এটা খুব কম হতো ৷ বেশিরভাগ সময় ৩টা, ৪টায় ঘুম থেকে উঠতাম ৷ টিচারদের পড়া একবার দেখে যেতাম ৷ আম্মা বলতো আমি কিভাবে পড়া দেই স্কুলে ! আমি তো জীবনে সন্ধ্যার পর ২ঘন্টা ঠিকমত পড়িনি !

আম্মার রুম আর আমার রুমের মাঝে দাদার রুম থাকায় সকালে দাদার রুম খুলে আমার রুমে আম্মার আসা হতো না, তাই সকাল বেলায় ২ঘন্টার জন্য আমার ম্যারাথন পড়াটা আম্মা বুঝতো না ৷ আর আমি নিঃশব্দে পড়া লোক ৷
আমার শিক্ষকবৃন্দ হয়তো খুব একটা বলতে পারবে না যে, আমি তাদের পড়া কখনো পারিনি ৷

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে হলে এসে গেস্টরুমেও ঘুমাতাম ! অনেক কষ্টে ১০টায় গেস্টরুমে যেতাম ৷ কখনো তার আগে একবার ঘুমিয়ে নিতাম ৷ বন্ধুরা ডেকে নিয়ে যেত ! বন্ধুরা না পারলে বড়ভাইরাও ডাকতো মাঝে মাঝে ৷
একদিন বন্ধুরা ৩বার ডাকার পরেও আমাকে নিয়ে যেতে পারেনি ৷ পরে আরিফ ভাই এসে ডেকে নিয়ে গেসে ! ওইদিন আরিফ ভাইয়ের উপর মেজাজ খুব গরম হয়েছিল ৷😄
মনে হচ্ছিলো এখনই হল ছেড়ে দিব !

গেস্টরুমে নরমালি সামনে থাকতাম তবে ১১টা পার হলে আমি আস্তে করে সবার পিছে চলে যেতাম ৷ দেয়ালে হেলান দিয়ে মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করে একটু ঘুমিয়ে নিতাম !
আমার মনে আছে, থার্ড ইয়ারে থাকার সময় আমরা কয়েকজন যখন গেস্টরুম নিতে গেছি, তখন ১১টা পার হয়ে গেছে ৷ এতো ঘুম পাচ্ছিলো যে গেস্টরুম নিতে গিয়েও হালকা করে ঘুমিয়েছি !😅

গণরুমে চিল্লাচিল্লি, গান কিংবা ঢাক ঢোল বাজলেও আমি ঘুমিয়ে যেতে পারতাম ! সবার আগে ! একরুমে ৩৫জনের বেশি ঘুমানো যেত না ৷ জাহেদ, পল্লব, ফিরোজ, ফরহাদ এরা ঘুমাতে আসতো সবার শেষে ৷ ওরা জানতো আমি ভোরে ঘুম থেকে উঠবো ৷ তাই জায়গা না থাকার কারনে ওরা ভোর ৪টা/৫টায় এসে আমাকে ডেকে দিত ৷আমি ঘুম থেকে উঠতাম আর ওরা একজন আমার জায়গায় ঘুমাতো !

এই অভ্যাসটা আমার একদম ছোটো বেলা থেকে ৷ যত ছোটো বেলার কথা আমি মনে করতে পারি, সেই সময় থেকে ৷ আম্মা ফজরের নামায পড়তে উঠতেন, আর নামায শেষে আম্মা রেগুলার কোরআন শরীফ পড়তেন, সেই শব্দ শুনে আমার ঘুম ভেঙে যেত ৷ তারপর বাইরে বের হয়ে দেখতাম সূর্য উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে !🥰

তবে আমি ঘুম কাতুরে শুধু রাতে ! আমার ঘুমাতে ২ মিনিটও সময় লাগে না ৷ কয়দিন আগে রাত ৯টায় স্টুডেন্ট’কে অনলাইনে পড়াতে পড়াতে ঘুমায় পড়সি !

কখনো আমাকে ১২টার পর অনলাইনে দেখা গেছে মানে আমি অলরেডি একবার ঘুমিয়ে উঠেছি !
অথচ দিনে হাজার চেষ্টা করলেও আমার ঘুম আসবে না ৷

সেই অভ্যাস এখনো কাটাতে পারিনি ! ভার্সিটি শেষ হয়ে যাচ্ছে এখনও তেমনই আছি ৷ অবশ্য অভ্যাসটা কাটাতে
চাইও না ৷

অনেকে ইদানিং বিভিন্ন দরকারে রাত ১০টা/১১টার পর কল দেন ৷ ফোন রিভিস হয়না ৷ মনে করতে পারেন যে, ইচ্ছা করে রিসিভ করিনি ৷তাই গল্পটা বললাম ৷
এখনো আমার ঘুমের রুটিন এভারেজ রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা !

Related Images:

Rifat Chowdhury
Post Views: ১৯৮

Share this:

  • Click to share on X (Opens in new window) X
  • Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook

Filed Under: জনসচেতনতা, জেনে নিন, তারকা সংবাদ, মগজ ধোলাই, সংগৃহীত

আসুন আমরা আমাদের কড়াইটা বড় করি।

এক লোক নদীতে মাছ ধরছিল। তার বড়শি ছোট মাছ ধরা পড়লে সেটা সে রেখে দেয়, আর বড় মাছ ধরা পড়লে সেটাকে আবার নদীতে ছেড়ে দেয়। পাশের এক লোক কিছু সময় তার এই অদ্ভুত কাজ দেখার পর জানতে চাইলো, ভাই আপনি এটা কেন করছেন। তখন সে বলল ভাই আমার মাছ ভাজার কড়াইটা ছোট, তাতে বড় মাছ ভাজা যায় না। আমাদের অনেকের কাছেই এমন ছোট কড়াই আছে […]

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

নামাজের সময়সূচী

    ঢাকা, বাংলাদেশ
    রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫
    ওয়াক্তসময়
    ফজর4:00 AM
    সূর্যোদয়5:11 AM
    জোহর11:59 AM
    আসর4:39 PM
    মাগরিব6:46 PM
    ইশা7:58 PM

বিভাগসমূহ

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • এই ৯ মিনিট আপনার সন্তানের জন্য ভীষণ প্রয়োজন
  • আবোল তাবোল রাজনীতি – পার্ট ২
  • সংখ্যা অনুপাতিক নির্বাচন ও এর সুফল
  • আমার আয়না ঘর দর্শন
  • কি দেখে পুরাতন/ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনব?
  • আবোল তাবোল রাজনীতি
  • ফলো টু ফলো – Follow to Follow
  • বি.ডি.এস. পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন।
  • আমি আজও বুঝলাম না আমার ডিভোর্সের আসল কারণ কি?
  • কিছু নির্মম ইতিহাস – Tasrif Khan
  • কেউ সুখে না রাখলে কি সুখি হওয়া যায়?
  • Sarjis Alam ভাইয়ের ২০২১ সালের পোস্ট
  • আমার গুমের গল্প।ভিক্টিম: মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী!
  • পাপের নগদ শাস্তি
  • যে ভালোবাসে তাকেই পাশে রাখ।
  • ছাদবাগান থেকেই আসবে প্রয়োজনীয় সবজি
  • A গ্রেড অথবা B গ্রেড টাইলস চেনার উপায় কি?
  • আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে?
  • প্রচন্ড গরমে বিল্ডিং বা পাকা বাড়িতে AC ছাড়াই ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে একটি পরামর্শ
  • এসি-ফ্যান একসাথে চালালে ঘর ঠান্ডা হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ বাঁচে?

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় সুমাইয়া
  • অনলাইনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং পেনশন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশনায় মোঃ শরিফুল ইসলাম
  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় পান্না দাশ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ

অনুসন্ধান করুন

বিভাগসমূহ

স্বাস্থ্য টিপস

ওষুধ প্রতিরোধী অ্যান্টিবায়োটিক – পেছনে কারণ কী?

প্রতিদিন ঢালাওভাবে প্রায় ১০ লক্ষ্য মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছে। কোটি কোটি মুরগীতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে, নানাভাবে সেগুলো মানুষের শরীরে চলে আসছে। অনেক শিশুর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট দেখা গেছে, যদিও ওই শিশু হয়তো তেমন কোন ওষুধ খায়নি। জিনের মাধ্যমে তাদের শরীরে এটি তৈরি হয়েছে।   Related Images:

Copyright © 2025