বিডি টপ টেন

বিডি টপ টেন

আজকের দিন-তারিখ-সময়
আজ ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল | ২৩শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার | রাত ৪:০৫
  • হোম
  • ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস
  • অফার
  • জোকস
  • স্বাস্থ্য টিপস
  • তারকা সংবাদ
  • ধর্ম
    • ইসলাম
  • জনসচেতনতা
  • নব দিগন্ত
  • জানা অজানা
  • সংগৃহীত

শিশুর কাছ থেকে জোর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া কেন ক্ষতিকর?

নভেম্বর ২৬, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

ডিজিটাল বিনোদন মাধ্যমে সময় কাটানোর সময় এক ধরণের সুখের অনুভূতি তৈরি হয়। আর সুখের অনুভূতি হঠাৎ নষ্ট হয়ে গেলে মস্তিষ্কে চাপ পড়ে। ছোটদের জন্য তো তা রীতিমত ভয়াবহ ব্যাপার।

সাবধান কি?

সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে শিশুর জগতে প্রবেশ করুন।

  • একটি প্রশ্ন করুন- ‘কী দেখছ তুমি?’
  • বাস্তব জগতে পুরোপুরি ফিরে না আসা পর্যন্ত কথা চালাতে হবে।
  • তাকে আদর করুন এবং ছোট কোনো কাজ করে দেয়ার অনুরোধ করুন।
  • নিজের সম্পূর্ণ মনোযোগ তাকে দিন।

আপনার পুরোপুরি মনোযোগ পেলে সেও আপনার প্রতি মনোযোগী হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই কথাটা অনেক বেশি সত্য। তারা সব সময় প্রিয় মানুষদের এ্যাটেনশন চায়।

এই সহজ কৌশলটুকু প্রয়োগ করে দেখুন, কত সহজেই শিশুদের টেলিভিশনের মোহ থেকে মুক্ত করতে পারেন আপনি। না মেরে, চোখ না রাঙিয়ে খুব কোমলভাবে তাকে তার কাজে যুক্ত করুন। সেটার ফল হবে অনন্য।

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, জেনে নিন, মগজ ধোলাই, শিশু সুরক্ষা, সুখি পরিবার

কন্যা

নভেম্বর ১১, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

সেদিনটির কথা আমি কখনোই ভুলবো না, যেদিন কোর্টে বাবা মায়ের সেপারেশনের সময় মা কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “আপনি কাকে চান, ছেলে কে না মেয়েকে?? ”

মা তখন ছেলেকে চেয়েছিল, আমাকে চায়নি। বাবাও তখন আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কারণ তিনি আবার বিয়ে করে নতুন সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, অযথা আমাকে নিয়ে নতুন সংসারে বোঝা বাড়াতে চাননি।

কাঠের বেঞ্চিতে বসে যখন অঝোরে কাঁদছিলাম তখন বুকে আগলে ধরেছিলেন এক লেডি কনস্টেবল। আশ্রয় দিয়েছিলেন তার বাড়িতে। কিন্তু তার মাতাল স্বামীর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছিল আমার উপর। শিশু বয়সে অত কিছু না বুঝলে ও কেমন যেন খারাপ লাগতো। রাতে যখন আন্টি বাসায় ফিরতেন, আমি তাকে সব বলে দিতাম। মহিলা দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। অতঃপর আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি আমাকে একটা এতিমখানায় রেখে আসলেন। যাবার সময় আমাকে দু হাতে জড়িয়ে ধরে যেমন করে কাঁদলেন, আমার মাও আমাকে রেখে যাওয়ার সময় ওভাবে কাঁদেনি।

দিন যায়-মাস যায়, এতিমখানাতেই জীবন কাটতে থাকে আমার। খুব অসহায় লাগতো নিজেকে। বাবা মা বেঁচে থাকতে ও যে শিশুকে এতিমখানায় থাকতে হয় তার থেকে অসহায় বুঝি আর কেউ নেই!!

বছর দু’য়েক পরের কথা। এক নিঃসন্তান ডাক্তার দম্পতি আমাকে দত্তক নেন। জীবনটাই পাল্টে গেল আমার। হেসে খেলে রাজকীয় ভাবে বড় হতে লাগলাম আমি। আমার নতুন বাবা মা আমাকে তাঁদের মতই ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার একগুঁয়ে ইচ্ছে ছিল একটাই, আমি ল’ইয়ার হবো। আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আজ আমি একজন ডিভোর্স ল’ ইয়ার। যারাই আমার কাছে তালাকের জন্য আসে, আগেই আমি বাচ্চার কাস্টোডির জন্য তাদের রাজি করাই। কারণ বাবা মা ছাড়া একটা শিশু যে কতটা অসহায়, তা আমি ছাড়া কেউ জানে না!!

চেম্বারে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলাম। হঠাৎ একটা নিউজে চোখ আটকে গেল। এক বৃদ্ধা মহিলাকে তার ছেলে আর বউ মিলে বস্তায় ভরে রেলস্টেশনে ফেলে রেখে গেছে। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নিচে বৃদ্ধা মহিলার ছবি দেয়া। মুখটা খুব চেনা চেনা লাগছিল। কাছে এনে ভালো করে ছবিটা দেখলাম। বুকের মাঝে ধক করে উঠলো। এ তো সেই মহিলা যে আমাকে অনেক বছর আগে আদালতে ছেড়ে গিয়েছিল, আমার মা। নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে ছুটে গেলাম হাসপাতালে।

সেই মুখটা কিন্তু চেনার উপায় নেই। চামড়াটা কুঁচকে আছে, শরীরটা রোগে শোকে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে খুব মায়া লাগছে, ভেতরটা ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। আচ্ছা, সেদিন কি তার একটু ও কষ্ট লাগেনি, যেদিন তার ১০ বছরের শিশু কন্যাটি মা-মা করে পিছু পিছু কাঁদতে কাঁদতে দৌড়াচ্ছিল?? হয়তো লাগেনি। নয়তো এভাবে ফেলে যেতে পারতো না।

একবার ভেবেছিলাম চলে যাবো। হঠাৎ দেখি তিনি ঘুম ভেঙে চোখ পিটপিট করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। বুঝলাম চিনতে পারেন নি, চেনার কথা ও নয়!! আমি আমার পরিচয় দিলাম। কয়েক সেকেন্ড নিষ্পলক তাকিয়ে থেকে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। নিজের কৃতকর্মের জন্য বারবার ক্ষমা চাইতে থাকে। নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি মাকে।

মাকে পাওয়ার পর বাবার জন্য ও মনটা উতলা হয়ে উঠে। মায়ের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বাবার অফিসে যোগাযোগ করি। জানতে পারি, কয়েক বছর আগেই রিটায়ার্ড করেছেন তিনি। বাসার ঠিকানায় গিয়ে দেখি উনি নেই। উনার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলেমেয়েদের জিজ্ঞেস করে জানলাম, রিটায়ার্ড করার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়েন। অযথা একটা রুম দখল করে নোংরা করত, তাই বিরক্ত হয়ে ছেলেমেয়েরা তাকে একটা সরকারি বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে, অযথা ঘরে বোঝা বাড়িয়ে কি লাভ!!!

ওদের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বৃদ্ধাশ্রম গেলাম। চিনতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো, মনে হলো একটা জীবিত লাশ পড়ে আছে বিছানায়। পাশে বসে হাতটা ধরলাম, পরিচয় দিতেই মুখ ফিরিয়ে কাঁদতে লাগলেন।

বাবা মা এখন আমার সাথে একই বাড়িতে আছেন। একসময় তারা আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু আমি পারিনি ছাড়তে। হাজার হোক আমার বাবা মা তো।


…. কন্যা ….
আফরিন শোভা।

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, জানা অজানা, মগজ ধোলাই, শিশু সুরক্ষা, সংগৃহীত, সুখি পরিবার

একজন সত্যিকারের শিক্ষকই এমন হতে পারেন…

নভেম্বর ৭, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এক যুবক তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে দেখতে পেলেন। বহুদিন পর ছোটবেলার শিক্ষককে দেখে যুবক তাঁর কাছে ছুটে গেলেন এবং বললেন, “স্যার, আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন ?”

শিক্ষক বললেন, ”না, আমি খুব দুঃখিত, তোমাকে চিনতে পারছি না।”

যুবক তখন বললেন, “স্যার,আমি আপনার ছাত্র, আপনার মনে থাকার কথা, থ্রিতে পড়ার সময় আমাদের এক সহপাঠীর দামি একটি কলম চুরি হয়েছিল।

সেই সহপাঠী কাঁদতে কাঁদতে আপনাকে নালিশ করল। আর আপনি সব ছাত্রকে চোখ বন্ধ করে দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়াতে বললেন। তারপর একজন একজন করে চেক করতে শুরু করলেন । আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। কারণ কলমটি ছিল আমার পকেটে।

আমি যে কলমটি চুরি করেছি তা আবিষ্কার হওয়ার পর আমি যে লজ্জার মুখোমুখি হব, আমার শিক্ষকরা আমার সম্পর্কে যে ধারণা পাবেন, স্কুলে সবাই আমাকে ‘চোর’ বলে ডাকবে এবং এটি জানার পর আমার মা-বাবার কী প্রতিক্রিয়া হবে- এই সমস্ত ভাবতে ভাবতে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হল।

একসময় আমার পালা এল । আমি অনুভব করলাম আমার পকেট থেকে আপনি কলমটি বের করছেন। কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আপনি কিছু বলছেন না এবং আপনি বাকী শিক্ষার্থীদের পকেট অনুসন্ধান করে চলেছেন।

তারপর যখন অনুসন্ধান শেষ হল, আপনি আমাদের চোখ খুলতে বললেন এবং আমাদের সবাইকে বসতে বললেন। ভয়ে আমি বসতে পারছিলাম না, কারণ আমার মনে হচ্ছিল একটু পরেই আপনি আমাকে ডাকবেন। না, আপনি তা না করে কলমটি সবাইকে দেখালেন এবং মালিককে ফেরৎ দিলেন।

কলমটি যে চুরি করেছে তার নাম আপনি আর কখনও কাউকে বলেননি। আপনি আমাকে একটি কথাও বলেননি, এবং আপনি কখনও কারও কাছে গল্পটির উল্লেখও করেননি।

স্যার , আপনি সেদিন আমার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন।
এই ঘটনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জীবনে আর অন্যের জিনিস ছুঁয়েও দেখব না। ”

“স্যার, এখন গল্পটি মনে পড়েছে কি ? গল্পটি আপনার ভোলার কথা না !!”

শিক্ষক জবাব দিলেন, ” হ্যাঁ! গল্পটি খুব ভালভাবেই মনে আছে আমার। তবে কার পকেটে কলমটি পাওয়া গিয়েছিল তা কখনো জানতে পারিনি। কারণ যখন আমি সবার পকেট চেক করছিলাম তখন আমি ইচ্ছে করেই তোমাদের মত নিজের চোখও বন্ধ করে রেখেছিলাম।”

এভাবেই শিক্ষকরা আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন জাতি গঠনে কাজ করে চলেন নিরন্তর।

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, জেনে নিন, প্রেরণা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু সুরক্ষা

বাসস্থান হল সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মা হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক।

অক্টোবর ৩০, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

পিতৃহারা ৭-৮ বছর বয়সের ছেলেটি স্কুল থেকে বাড়ীতে এসে মাকে বলল, “মা, প্রিন্সিপাল আমাকে আদর করে কিছু ক্যান্ডি দিয়েছে। আর, তোমার জন্য এই চিঠিটা।”

মা চিঠিখানা খুলে পড়ে কেঁদে ফেললেন। মায়ের চোখে জল দেখে ছেলেটি বলল, “মা, কাঁদছো কেন?” চোখ মুছতে মুছতে মা বললেন, “বাবা, এটা আনন্দের কান্না!”

বলেই ছেলেটিকে চুমু দিয়ে বললেন, “আমার জিনিয়াস বাবা, তোকে চিঠিটা পড়ে শোনাই।”

মা আনন্দের সাথে চিৎকার করে স্যার‌ের ল‌েখা ভাষাগুলো বদল‌ে নিজের মত কর‌ে পড়তে লাগলেন, “ম্যাম, আপনার ছেলেটি সাংঘাতিক জিনিয়াস। আমাদের ছোট্ট শহরে ওকে শিক্ষা দেওয়ার মত শিক্ষক আমাদের নেই। তাই যদি পারেন আপনার ছেলেকে বড় শহরে কোনো স্কুলে ভর্তি করে দিলে ভালো হয়। এই ছেলেটি একদিন বিশ্বে প্রচুর সুনাম অর্জন করবে।”

পত্রখানা পড়েই মা ছেলেটিকে চুমু দিয়ে বললেন, “এই জিনিয়াস ছেলেটিকে আমি নিজেই পড়াব।” মা নিজেই শিক্ষা দিয়ে ছেলেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের তথা সমগ্ৰ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক বানালেন। ছেলেটির নাম হলো টমাস আলভা এডিসন। বৈদ্যুতিক বাল্ব, শব্দ রেকর্ডিং, মুভি ক্যামেরা বা চলমান ছবি ইত্যাদি সহ হাজারো আবিষ্কার তাঁর।

মায়ের মৃত্যুর পর টমাস এডিসন একদিন সেই ছোট্ট গ্রামে মায়ের সেই ছোট্ট বাড়ীতে গিয়ে ঘর পরিষ্কারের সময় স্কুলের প্রিন্সিপ্যালের দেওয়া চিঠিটা পেল। চিঠিখানা পড়ে টমাস কেঁদে ফেললেন।

তাতে লেখা ছিল, “ম্যাডাম, আপনার ছেলে টমাস এডিসন একজন মেন্টালি রিটার্ডেড। সে এতটাই নির্বোধ যে, তাকে শিক্ষা দেওয়ার মত ক্ষমতা আমাদের নেই। কারও আছে বলেও আমাদের জানা নেই। আপনার ছেলের কারণে আমাদের স্কুলটির সুনাম ক্ষুন্ন হবে। তাই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনার ছেলেকে স্কুল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হল।”

শিক্ষনীয়ঃ-
সন্তানের সাথে সর্বদাই পজিটিভ আচরন করবেন। বাসস্থান হল সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মা হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক।

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, প্রেরণা, মগজ ধোলাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু সুরক্ষা

বাবা-মার সাথে সন্তানের সম্পর্কটা হওয়া চাই “বেষ্ট ফ্রেন্ড” এর মতো।

অক্টোবর ১১, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

রিয়েলিটি শো-তে এক মেয়েকে প্রশ্ন করা হলো– আপনি লাইফে কয়টা রিলেশন করেছেন?

প্রশ্নটির জবাবে মেয়েটি মুচকি হেসে বললো– এ প্রশ্নটির জবাব একমাত্র আমার বাবা দিতে পারবে। আর তাই আমি আমার
বাবাকে ফোন দিতে চাই।

সবাই মেয়েটির এমন উওর শুনে অবাক হয়ে গেলো, সঞ্চালোক বল্লেন – জ্বি সমস্যা নেই, আপনি আপনার বাবাকে ফোন দিতে পারেন।

মেয়েটি অতঃপর তার বাবাকে ফোন দিলো — এবং জিজ্ঞাসা করলো “বাবা আমি লাইফে কয়টা রিলেশন করেছি”।

ফোনের ওপাশ থেকে বাবা বলে উঠলো – “মা একটা ও না”।

বিচারকদের মধ্যে একজন মেয়েটির বাবাকে বলে উঠলো – আপনি কীভাবে শিউর যে আপনার মেয়ে লাইফে কোনো রিলেশন করেনি?

— মেয়েটির বাবা তখন বললো — আমার মেয়েটির বয়স যখন সবে মাত্র সাত বছর সেই বয়স থেকে আজ ওর ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত আমিই হচ্ছি ওর একমাত্র বেষ্ট ফ্রেন্ড। আমি কখনো আমার মেয়েকে বলিনি যে – মা, আমার এ কাজটি পছন্দ নয় বা এ কাজটি যদি তুমি ভুল করেও কর, তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবেনা বা কখনোই আমি এরূপ আচরণ করিনি বিধেয় আমার মেয়ে কোনো সংকোচ ছাড়াই সবকিছু আমাকে বলতো।

আমি রাস্তায় যদি কখনো কোনো মেয়েকে অসভ্যতার মতো চলতে দেখতাম বা কোনো অল্পবয়সী ছেলে-মেয়েকে প্রেম করতে দেখতাম, আমি বেষ্ট ফ্রেন্ডের মতো আমার মেয়েকে সেগুলো লক্ষ্য করে বলতাম — মা এগুলো ভালো নয়, কখনো এই পথে যেওনা, না হলে তোমার সুন্দর ফিউচার নষ্ট হয়ে যাবে।

আমার এখনও মনে আছে আমার মেয়ে প্রথম যখন প্রেমের পস্তাব পায় তখন আমার মেয়ে সবে মাত্র ক্লাস এইটে পড়ে, আমাকে এসে ঝাপটে ধরে বলে বাবা আজকে না পাড়ার রবিন নামের ছেলেটা আমায় ফুলের তোড়া আর চকলেট দিয়েছে এবং বলেছে ও আমাকে ভালোবাসে, আর তাই আজকে স্কুল থেকে আমি ওর সাথে ঘুরতে গিয়েছি।

আমি তখন হাসি মুখে বললাম — তাই মা, ভালো । আমার এ উওরটি শুনে আমার মেয়েটি হাসি মুখে বললো– আমি জানতাম বাবা তুমি আমায় কিছু বলবে না, অথচ ফ্রেন্ডরা আমায় বারবার বললো তোমাকে এ কথা বলতে না, তুৃমি শুনলে নাকি আমায় অনেক মারবে, কিন্তু আমি বলেছি না আমার বাবা এমন নয় আর ওনি শুধু আমার বাবা নয় আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড, বাবা আমি ঠিক বলেনি?

— হুম ঠিক বলেছিস মা। এই বলে আমি আমার মেয়েটির হাত ধরে ওকে একটা আমগাছের সামনে নিয়ে যাই । অতঃপর একটা বড় লাঠি দিয়ে আমগাছ থেকে আম পাড়তে চাইলে আমার মেয়েটি চিৎকার দিয়ে বলে উঠে– বাবা তুমি এটা কী করছো?— কেন মা আম পাড়ছি।

— বাবা তুমি দেখছোনা আমগুলো এখনো ছোট সবেমাত্র মকুল থেকে আম হয়েছে, এগুলো এখন পাড়া বা খাওয়া কোনোটাই উচিত নয় ।

আমার মেয়ের এ কথা শুনে আমি আমার মেয়েটির হাতটা ধরে বললাম — মা, এমন কথা যদি আমি তোকে বলি? আমি যদি বলি এখন এসব প্রেম, ভালোবাসা করা উচিত নয়, কারন তুই এখন ও ছোট, তুই কী মানবি? এই আমগুলো এখন যেমন খাওয়া যাবেনা, আর কেউ খেলে ও তা সাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর ঠিক তেমনি মা এই এই বয়সে প্রেম- ভালোবাসা ও তোর ভবিষ্যৎতের জন্য অমঙ্গলকর, এই বলে আমি চলে আসলাম।

সেদিন থেকে ক্লাস টেন অবদি আমার মেয়ে সবসময় আমার এ কথাটিকে মনে রেখে জীবন পথে চলেছে। আমার এখন ও
মনে আছে ক্লাস এইটে থাকতে — একদিন মেয়ে খুব বায়না করেছিলো জিন্স পড়ার জন্য, আমি তখন মেয়েকে বলেছিলাম
ঠিক আছে কিনে দিবে, পরেরদিন একটা জিন্স এনে দিয়েছিলাম, মেয়ে সেটা পড়ে দিব্যি খুশীতে আমার সামনে হাঁটতে থাকে, আমি তখন মেয়েকে দেখিয়ে টিভির উপরে দেওয়া পর্দাটাকে সরিয়ে ফেললাম এবং বাইরে ফেলে দিলাম,আমার মেয়ে তখন রেগে বললো– বাবা তুমি এটা কী করলে?

আমি তখন বললাম– টিভির উপরে আবার পর্দা দেওয়ার কী দরকার, এমনেই তো ভালো লাগে তাই ফেলে দিলাম। আমার মেয়ে তখন বললো — উফ বাবা! তুমি জাননা টিভির উপর পর্দা না দিলে ময়লা বা ধূলাবালি পড়ে।

আমি তখন মেয়েকে হেসে বললাম– ঠিক তেমনি মা অশালীনতা পোশাকে নারীর শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়, ধূলাবালি পড়ে আর সেই ধূলাবালি কী জানিস মা? পাড়ার বখাটে ছেলেদের খারাপ দৃষ্টি আর বাঝে মন্তব্য, আর রবিন নামের হাজারো ছেলের আবেগকে প্রেমনামে প্রকাশ করে হাজারো মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করা।

সেদিন থেকে আমার মেয়ে আজ পর্যন্ত কখনোই অশালীনতা পোশাক পরেনি। ইন্টারে থাকতে আমার মেয়ে লাইফে সবথেকে বড় একটা ভুল করতে গিয়েছিল কিন্তু আমি বেষ্ট ফ্রেন্ডের মতো আমার মেয়ের সেই ভুলকে ও সুদ্রে দিলাম।

একদিন আমার মেয়ে এসে আমাকে বলললো —
বাবা আমি মোহন নামের একটি ছেলেকে ভালোবাসি, প্লিজ বাবা তুমি এটা মেনে নেও, আমি ওকে ছাড়া বাঁচবোনা, আমি বুঝেছি আমার মেয়ে আবেগের বয়সে চোখে সব শর্স্যফুল দেখছে কিন্তু আমি মেয়েকে বললাম — বেশ তো মেনে নিবো। আচ্ছা একটা কথা বলতো মা? আমাদের এই দেশে আমরা কী সবজায়গায় যেতে পারি?

— হ্যা বাবা সবজায়গা যেতে পারি।

— না মা, আসলে আমাদের এই দেশে আমরা সবজায়গা যেতে পারিনা, যেমন বর্ডারের সীমান্তে আমরা সাধারণ মানুষরা যেতে পারিনা, সেখানে শুধু নির্দিষ্ট শ্রেণীর লোকেরাই যেতে পারে, ঠিক তেমনি মা এই প্রেম করার একটা নির্দিষ্টতা আছে আর সেই নির্দিষ্টতা হচ্ছে বিয়ে, তুই বরং মোহনকে বিয়ে করে ফেল, ঠিক আছে?

আমার মেয়েটি আমার কথাগুলো শুনে কেমন জানী মাথা নিচু করে চলে গেলো, কিছুসময় পর আমার সামনে এসে বললো

— না বাবা আমি এখন বিয়ে করবো না, বিয়ে মানে অনেক ভেজাল।

আমি তখন হেসে- হেসে বললাম মারে তোর এই বয়সটা হচ্ছে আবেগের, চোখে একটা হলুদ চশমা পরে আছিস যার ফলে পৃথিবীটাকে হলুদ দেখাচ্ছে কিন্তু আসলে কী পৃথিবীটা হলুদ?

আমার মেয়ে মাথা নাড়িয়ে বললো — না বাবা।

— এই জিনিসটাই এই বয়সে তোদের আমরা বুঝাতে পারিনা।

— স্যরি বাবা, আমি এবার থেকে সঠিক পথে চলবো ।

এভাবেই আমার মেয়েটার ভুলগুলোকে আমি একটু- একটু করে ঠিক করে দিয়েছি বিধেয় আজ আমার মেয়ে একজন শিক্ষিত ব্যক্তি এবং আমার জামাতা পেশায় একজন ডাক্তার পাশাপাশি একজন খাঁটি মানুষ ও বটে। যার কারনে আজ বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাটতে পারি। আসলে স্যার আমাদের সন্তানের সাথে সম্পর্কটা একটা বেষ্ট ফ্রেন্ডের !!

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জেনে নিন, মগজ ধোলাই, শিশু সুরক্ষা, সংগৃহীত, সুখি পরিবার Tagged With: parental responsibilities

  • « Previous Page
  • 1
  • …
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • Next Page »

নামাজের সময়সূচী

    ঢাকা, বাংলাদেশ
    শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
    ওয়াক্তসময়
    ফজর4:00 AM
    সূর্যোদয়5:12 AM
    জোহর12:00 PM
    আসর4:40 PM
    মাগরিব6:48 PM
    ইশা7:59 PM

বিভাগসমূহ

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • এই ৯ মিনিট আপনার সন্তানের জন্য ভীষণ প্রয়োজন
  • আবোল তাবোল রাজনীতি – পার্ট ২
  • সংখ্যা অনুপাতিক নির্বাচন ও এর সুফল
  • আমার আয়না ঘর দর্শন
  • কি দেখে পুরাতন/ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনব?
  • আবোল তাবোল রাজনীতি
  • ফলো টু ফলো – Follow to Follow
  • বি.ডি.এস. পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন।
  • আমি আজও বুঝলাম না আমার ডিভোর্সের আসল কারণ কি?
  • কিছু নির্মম ইতিহাস – Tasrif Khan
  • কেউ সুখে না রাখলে কি সুখি হওয়া যায়?
  • Sarjis Alam ভাইয়ের ২০২১ সালের পোস্ট
  • আমার গুমের গল্প।ভিক্টিম: মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী!
  • পাপের নগদ শাস্তি
  • যে ভালোবাসে তাকেই পাশে রাখ।
  • ছাদবাগান থেকেই আসবে প্রয়োজনীয় সবজি
  • A গ্রেড অথবা B গ্রেড টাইলস চেনার উপায় কি?
  • আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে?
  • প্রচন্ড গরমে বিল্ডিং বা পাকা বাড়িতে AC ছাড়াই ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে একটি পরামর্শ
  • এসি-ফ্যান একসাথে চালালে ঘর ঠান্ডা হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ বাঁচে?

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় সুমাইয়া
  • অনলাইনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং পেনশন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশনায় মোঃ শরিফুল ইসলাম
  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় পান্না দাশ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ

অনুসন্ধান করুন

বিভাগসমূহ

স্বাস্থ্য টিপস

যে ভালোবাসে তাকেই পাশে রাখ।

একজন তোমার জন্য সামান্য sacrifice করতে পারবে না। আরেকজন for no reason তোমার জন্য সব কিছু করবে। একজন তোমার জন্য মিরপুর থেকে আগারগাঁও আসতে পারবে না। নানা অজুহাত দেখাবে। আরেকজন গুলশান থেকে ঝড় বৃষ্টি সহ্য করে নারায়ণগঞ্জ চলে আসবে। একজন তার মামা চাচার সম্পদের বড়াই তোমার সাথে দেখাবে। আরেকজন তার বাবার হাজার কোটি টাকার সম্পদের গল্প কোন দিনও তোমাকে বলবে না।গর্ব দেখানো তো দূরের ব্যাপার। […]

Copyright © 2025