বিডি টপ টেন

বিডি টপ টেন

আজকের দিন-তারিখ-সময়
আজ ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বর্ষাকাল | ২৩শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার | সকাল ১০:২৮
  • হোম
  • ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস
  • অফার
  • জোকস
  • স্বাস্থ্য টিপস
  • তারকা সংবাদ
  • ধর্ম
    • ইসলাম
  • জনসচেতনতা
  • নব দিগন্ত
  • জানা অজানা
  • সংগৃহীত

কন্যা

নভেম্বর ১১, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

সেদিনটির কথা আমি কখনোই ভুলবো না, যেদিন কোর্টে বাবা মায়ের সেপারেশনের সময় মা কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “আপনি কাকে চান, ছেলে কে না মেয়েকে?? ”

মা তখন ছেলেকে চেয়েছিল, আমাকে চায়নি। বাবাও তখন আমার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কারণ তিনি আবার বিয়ে করে নতুন সংসার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, অযথা আমাকে নিয়ে নতুন সংসারে বোঝা বাড়াতে চাননি।

কাঠের বেঞ্চিতে বসে যখন অঝোরে কাঁদছিলাম তখন বুকে আগলে ধরেছিলেন এক লেডি কনস্টেবল। আশ্রয় দিয়েছিলেন তার বাড়িতে। কিন্তু তার মাতাল স্বামীর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছিল আমার উপর। শিশু বয়সে অত কিছু না বুঝলে ও কেমন যেন খারাপ লাগতো। রাতে যখন আন্টি বাসায় ফিরতেন, আমি তাকে সব বলে দিতাম। মহিলা দুঃশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। অতঃপর আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি আমাকে একটা এতিমখানায় রেখে আসলেন। যাবার সময় আমাকে দু হাতে জড়িয়ে ধরে যেমন করে কাঁদলেন, আমার মাও আমাকে রেখে যাওয়ার সময় ওভাবে কাঁদেনি।

দিন যায়-মাস যায়, এতিমখানাতেই জীবন কাটতে থাকে আমার। খুব অসহায় লাগতো নিজেকে। বাবা মা বেঁচে থাকতে ও যে শিশুকে এতিমখানায় থাকতে হয় তার থেকে অসহায় বুঝি আর কেউ নেই!!

বছর দু’য়েক পরের কথা। এক নিঃসন্তান ডাক্তার দম্পতি আমাকে দত্তক নেন। জীবনটাই পাল্টে গেল আমার। হেসে খেলে রাজকীয় ভাবে বড় হতে লাগলাম আমি। আমার নতুন বাবা মা আমাকে তাঁদের মতই ডাক্তার বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমার একগুঁয়ে ইচ্ছে ছিল একটাই, আমি ল’ইয়ার হবো। আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আজ আমি একজন ডিভোর্স ল’ ইয়ার। যারাই আমার কাছে তালাকের জন্য আসে, আগেই আমি বাচ্চার কাস্টোডির জন্য তাদের রাজি করাই। কারণ বাবা মা ছাড়া একটা শিশু যে কতটা অসহায়, তা আমি ছাড়া কেউ জানে না!!

চেম্বারে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলাম। হঠাৎ একটা নিউজে চোখ আটকে গেল। এক বৃদ্ধা মহিলাকে তার ছেলে আর বউ মিলে বস্তায় ভরে রেলস্টেশনে ফেলে রেখে গেছে। পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নিচে বৃদ্ধা মহিলার ছবি দেয়া। মুখটা খুব চেনা চেনা লাগছিল। কাছে এনে ভালো করে ছবিটা দেখলাম। বুকের মাঝে ধক করে উঠলো। এ তো সেই মহিলা যে আমাকে অনেক বছর আগে আদালতে ছেড়ে গিয়েছিল, আমার মা। নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করে ছুটে গেলাম হাসপাতালে।

সেই মুখটা কিন্তু চেনার উপায় নেই। চামড়াটা কুঁচকে আছে, শরীরটা রোগে শোকে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। ঘুমন্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে খুব মায়া লাগছে, ভেতরটা ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। আচ্ছা, সেদিন কি তার একটু ও কষ্ট লাগেনি, যেদিন তার ১০ বছরের শিশু কন্যাটি মা-মা করে পিছু পিছু কাঁদতে কাঁদতে দৌড়াচ্ছিল?? হয়তো লাগেনি। নয়তো এভাবে ফেলে যেতে পারতো না।

একবার ভেবেছিলাম চলে যাবো। হঠাৎ দেখি তিনি ঘুম ভেঙে চোখ পিটপিট করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। বুঝলাম চিনতে পারেন নি, চেনার কথা ও নয়!! আমি আমার পরিচয় দিলাম। কয়েক সেকেন্ড নিষ্পলক তাকিয়ে থেকে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। নিজের কৃতকর্মের জন্য বারবার ক্ষমা চাইতে থাকে। নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি মাকে।

মাকে পাওয়ার পর বাবার জন্য ও মনটা উতলা হয়ে উঠে। মায়ের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বাবার অফিসে যোগাযোগ করি। জানতে পারি, কয়েক বছর আগেই রিটায়ার্ড করেছেন তিনি। বাসার ঠিকানায় গিয়ে দেখি উনি নেই। উনার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলেমেয়েদের জিজ্ঞেস করে জানলাম, রিটায়ার্ড করার কিছু দিনের মধ্যেই তিনি প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়েন। অযথা একটা রুম দখল করে নোংরা করত, তাই বিরক্ত হয়ে ছেলেমেয়েরা তাকে একটা সরকারি বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে, অযথা ঘরে বোঝা বাড়িয়ে কি লাভ!!!

ওদের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বৃদ্ধাশ্রম গেলাম। চিনতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো, মনে হলো একটা জীবিত লাশ পড়ে আছে বিছানায়। পাশে বসে হাতটা ধরলাম, পরিচয় দিতেই মুখ ফিরিয়ে কাঁদতে লাগলেন।

বাবা মা এখন আমার সাথে একই বাড়িতে আছেন। একসময় তারা আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু আমি পারিনি ছাড়তে। হাজার হোক আমার বাবা মা তো।


…. কন্যা ….
আফরিন শোভা।

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, জানা অজানা, মগজ ধোলাই, শিশু সুরক্ষা, সংগৃহীত, সুখি পরিবার

বাসস্থান হল সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মা হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক।

অক্টোবর ৩০, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

পিতৃহারা ৭-৮ বছর বয়সের ছেলেটি স্কুল থেকে বাড়ীতে এসে মাকে বলল, “মা, প্রিন্সিপাল আমাকে আদর করে কিছু ক্যান্ডি দিয়েছে। আর, তোমার জন্য এই চিঠিটা।”

মা চিঠিখানা খুলে পড়ে কেঁদে ফেললেন। মায়ের চোখে জল দেখে ছেলেটি বলল, “মা, কাঁদছো কেন?” চোখ মুছতে মুছতে মা বললেন, “বাবা, এটা আনন্দের কান্না!”

বলেই ছেলেটিকে চুমু দিয়ে বললেন, “আমার জিনিয়াস বাবা, তোকে চিঠিটা পড়ে শোনাই।”

মা আনন্দের সাথে চিৎকার করে স্যার‌ের ল‌েখা ভাষাগুলো বদল‌ে নিজের মত কর‌ে পড়তে লাগলেন, “ম্যাম, আপনার ছেলেটি সাংঘাতিক জিনিয়াস। আমাদের ছোট্ট শহরে ওকে শিক্ষা দেওয়ার মত শিক্ষক আমাদের নেই। তাই যদি পারেন আপনার ছেলেকে বড় শহরে কোনো স্কুলে ভর্তি করে দিলে ভালো হয়। এই ছেলেটি একদিন বিশ্বে প্রচুর সুনাম অর্জন করবে।”

পত্রখানা পড়েই মা ছেলেটিকে চুমু দিয়ে বললেন, “এই জিনিয়াস ছেলেটিকে আমি নিজেই পড়াব।” মা নিজেই শিক্ষা দিয়ে ছেলেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের তথা সমগ্ৰ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক বানালেন। ছেলেটির নাম হলো টমাস আলভা এডিসন। বৈদ্যুতিক বাল্ব, শব্দ রেকর্ডিং, মুভি ক্যামেরা বা চলমান ছবি ইত্যাদি সহ হাজারো আবিষ্কার তাঁর।

মায়ের মৃত্যুর পর টমাস এডিসন একদিন সেই ছোট্ট গ্রামে মায়ের সেই ছোট্ট বাড়ীতে গিয়ে ঘর পরিষ্কারের সময় স্কুলের প্রিন্সিপ্যালের দেওয়া চিঠিটা পেল। চিঠিখানা পড়ে টমাস কেঁদে ফেললেন।

তাতে লেখা ছিল, “ম্যাডাম, আপনার ছেলে টমাস এডিসন একজন মেন্টালি রিটার্ডেড। সে এতটাই নির্বোধ যে, তাকে শিক্ষা দেওয়ার মত ক্ষমতা আমাদের নেই। কারও আছে বলেও আমাদের জানা নেই। আপনার ছেলের কারণে আমাদের স্কুলটির সুনাম ক্ষুন্ন হবে। তাই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনার ছেলেকে স্কুল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হল।”

শিক্ষনীয়ঃ-
সন্তানের সাথে সর্বদাই পজিটিভ আচরন করবেন। বাসস্থান হল সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মা হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক।

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, প্রেরণা, মগজ ধোলাই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু সুরক্ষা

“হয়তো” বলে বলে আর কয়দিন চলবে জীবন?

অক্টোবর ২৯, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

হয়তো বললেই কি চলবে?
“হয়তো” বলে বলে আর কয়দিন চলবে জীবন?

আমরা কষ্টের একটি বিশাল দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ভাবি- কালকে “হয়তো সব ঠিক হবে ” এ আশা নিয়ে।

‘হয়তো’ …..
হয়তো একদিন সব ঠিক হবে,
হয়তো একদিন আমাকে মানুষগুলো বুঝবে,
হয়তো একদিন আমি সবার দেয়া পেইন ভুলে মুভ অন করতে পারবো,

হয়তো একদিন আমার ভালবাসার মানুষ আমাকে সম্মান ও গুরুত্ব দিবে।

হয়তো depression থেকে একাই বের হতে পারবো।

– কত যে “হয়তো”- দিয়ে নিজেকে ভুলভাবে বুঝ দিয়ে যাচছি।

বার বার হোঁচট খেয়ে ফিরে আসি আমরা সেই অন্ধকারে।

‘হয়তো’ এর মত অনিশ্চত শব্দকে সঙ্গি করে জীবন চলে না।

– ওকে ফাইন প্রথমত, একটু খেয়াল করুন আপনার কিছু দিনের এক্টিভিটিসগুলো আপনি খুব সহজভাবে বুঝতে পারবেন।

  1. আপনি কি বেশ অস্থিরতাবোধ করেন, মনে হয় যেন মাথার ভেতর প্রেশার অনুভব করছেন, বুকের ভেতরে চাপা নিঃশ্বাস আটকে আছে?
  2. সারাক্ষন ক্লান্ত লাগে, ঘুম থেকেও উঠলেও ফ্রেশ লাগেনা। মনে হচ্ছে ঘুম এখনো পূর্ণ হয়নি। কোথাও বাধা পাচ্ছে?
  3. আপনার কাছে কি মাঝে মাঝে নিজেকেই অসহ্যকর লাগে?
  4. “আমি কিছু পারি না”, “পুরো জীবনটা এভাবেই নষ্ট করে গেলাম” – এ ধরণের অপরাধবোধ এবং “কিছু পারি না” অনুভূতি লেগে থাকে ? আত্মহত্যা কিংবা self-harm-এর চিন্তা কাজ করে?
  5. মেজাজ খিটখিটে লাগে সারাক্ষণ?কথা বেশি শুনলে মনে হয় যেন মাথায় গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে। সব কথা আপনাকে আঘাত করার নিয়তে বলছে বলে মনে হয়। রিএক্ট করে ফেলেন ক্ষোভ ধরে রাখতে না পেরে।
  6. কোন কিছুতে জড়িয়ে বা আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেস্টা করা। নিজস্ব স্বত্তা হারিয়ে ফেলা। মনে হয় আপাততঃ আমার কাছে এটি থাকলে আমি বাঁচতে পারবো। ব্যস্ত থেকে মন ভুলাতে পারবো!

যদি এমন হয়ে থাকে, তাহলে বুঝে নিবেন যে আপনি নিঃসন্দেহে “ডিপ্রেশন” নামক ধ্বংসাত্বক রোগে ভুগছেন।

যদি তাই হয়, তবে অতিসত্বর তার জন্য কাউন্সেলিং জরুরী।

কি লাভ একবার ভাবুন তো?
========================
নিজেকে মেরে ফেলার চেয়ে সুন্দরভাবে ডিপ্রেশন মুক্ত বাঁচার স্টেপ নিন।

?তাই চাইতে হলে আগে একশান নিতে হবে।

আপনার নিজের লাইফকে চেঞ্জ করতে ও হারানো সম্মান ফিরিয়ে আনতে আপনাকে তৈরি করুন কাউন্সিলিং নিন।

জারিন সুলতানা
মাইন্ড কেয়ার

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, প্রেরণা, মগজ ধোলাই

যৌন চাহিদা হচ্ছে ক্ষুধার মতো!

অক্টোবর ১৯, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

ক্ষুধা লাগলে যেমন খাবার প্রয়োজন হয় , তেমনি নারী পুরুষ একটি নির্দিষ্ট বয়সে উপনীত হলে তাদের যৌন চাহিদা সৃষ্টি হয় ৷

এটা আল্লাহর একটি সৃষ্টি। তাই প্রতিটি ছেলে মেয়ের উপযুক্ত বয়সে বিবাহ হওয়াটাই শ্রেয়।

কিন্তু আমাদের সমাজে পড়াশোনার নামে, ক্যারিয়ার গড়ার নামে উপযুক্ত সময় থেকে অনেক পরে ছেলে-মেয়েদের বিবাহ দেয়া হয়। ফলে যৌন চাহিদার বর্শবর্তি হয়ে যেনা ব্যভিচারে পা বাড়ায় যুবক যুবতীরা ৷

আর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক ৷

সরকারি বিধান মোতাবেকও যদি একজন নারীর বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং একজন পুরুষের বিয়ের বয়স ২১ বছর হয় তারপরও অনেক অভিভাবকেরা ছেলের বয়স নিয়ে গেছে ৩০/৩৫ এ এবং মেয়ের বয়স নিয়ে গেছে ২৫/২৮ এ ৷

অথচ ইসলামিক রাষ্ট্রে ছেলে মেয়েদের এত দেরীতে বিবাহ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই ৷

অভিভাবকের কাছে এখন বিবাহ হয়ে গেছে কঠিন তাই যেনা হয়েছে সহজ ৷
এর জন্য এই সমস্ত সহীহ দ্বীনহীন অভিভাবকরাই দায়ী!

আল্লাহ্ প্রতিজ্ঞাও করেছেন “ বিয়ে করলেই তোমাদের ধনী করে দিবো।”

তবুও মেয়ে বিয়ে দেয়ার সময় কেবলই চাকুরীজীবী ছেলে খোজাটা মূলত আল্লাহ্’র উপর অনির্ভরশীলতা’র ইঙ্গিত।

” ﻭﺃﻧﻜﺤﻮﺍ ﺍﻻﻳﺎﻣﻲ ﻣﻨﻜﻢ ﻭ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﻴﻦ ﻣﻦ ﻋﺒﺎﺩﻛﻢ ﻭ ﺇﻣﺎﺋﻜﻢ ﺇﻥ ﻳﻜﻮﻧﻮﺍ ﻓﻘﺮﺍﺀ ﻳﻐﻨﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ “

(তোমাদের মধ্য হতে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ দিয়ে দাও এবং দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরকেও। তারা যদি নিঃস্বও হয়ে থাকেন তবে স্বয়ং আল্লাহ্ তাকে ধনী বানিয়ে দেবেন)
– সূরা নুর। আয়াতঃ ৩২।

পিতা-মাতা তথা অভিভাবকদের জন্য দুটি দিকে খুবই দায়িত্ববান হওয়া দরকার। সন্তান লালন-পালনে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। সন্তানকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। বিয়ের উপযুক্ত বয়স হলেই বিয়ে দিতে হবে।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার কোনো সন্তান জন্ম লাভ করে সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব-কায়দা শিক্ষা দেয়। যখন সে বালেগ হয় তখন যেন তার বিবাহ দেয়। যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিবাহ না দেয় তাহলে সে কোনো পাপ করলে, সে পাপ তার পিতার উপর বর্তাবে।’ (বায়হাকী, মিশকাত হা/৩১৩৮)।

? অতএব,
আপনি ও আপনার সন্তানকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে ও সুন্দর সমাজ গড়তে
আপনার সন্তানকে সামর্থ্য থাকলে বিয়ে দিয়ে দেন তাড়াতাড়ি।
:
আল্লাহ বলেনঃ
চরিত্র রক্ষার জন্য যারা বিয়ে করবে তারা যদি অভাবি হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন। (সুরা নুর : ৩২)

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: ইসলাম, জেনে নিন, ধর্ম, মগজ ধোলাই, সংগৃহীত

যারা তোমার মূল্য বুঝবে তারা ঠিকই তোমাকে মূল্যায়ন করবে

অক্টোবর ১২, ২০১৯ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

মৃত্যুর পূর্বে একজন পিতা তার সন্তানকে কাছে ডেকে বললেন, ‘এই নাও! এই ঘড়িটা আজ আমি তোমাকে দিলাম। আমাকে দিয়েছিলো তোমার দাদা। ঘড়িটা দুইশত বছর আগের। তবে, ঘড়িটা নেওয়ার আগে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে’।

ছেলেটা বললো, ‘কি কাজ?’

– ‘এই ঘড়িটা নিয়ে রাস্তার পাশের ঘড়ির দোকানে যাবে। তাদের বলবে যে এই ঘড়ি তুমি বিক্রি করতে চাও’।

ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা রাস্তার পাশের একটা ঘড়ির দোকানে বিক্রি করতে নিয়ে গেলো। সে ফিরে এলে তার বাবা বললো, ‘ঘড়ির দোকানদার কতো টাকা দিতে চাইলো ঘড়িটার বিনিময়ে?’

ছেলেটা বললো, ‘একশো টাকা মাত্র। ঘড়িটা নাকি অনেক পুরাতন, তাই’।

বাবা বললেন, ‘এবার পাশের কফি শপে যাও। তাদেরকে বলো যে তুমি এই ঘড়ি বিক্রি করতে চাও’।

ছেলেটা তা-ই করলো। ঘড়িটা নিয়ে পাশের এক কফি শপে গেলো৷ ফিরে এলে তার বাবা জানতে চাইলো, ‘কি বললো ওরা?’

– ‘ওরা তো এটা নিতেই চাইলো না। বললো, এতো পুরোনো, নোংরা ঘড়ি দিয়ে আমাদের কি হবে?’

বাবা হাসলেন। বললেন, ‘এবার তুমি এই ঘড়ি নিয়ে জাদুঘরে যাও। তাদের বলো যে এই ঘড়িটা আজ থেকে দুই’শতো বছর আগের’।

ছেলেটা এবারও তা-ই করলো। সে ঘড়িটা নিয়ে জাদুঘরে গেলো। ফিরে এলে তার বাবা বললো, ‘কি বললো ওরা?’

– ‘ওরা তো ঘড়িটা দেখে চমকে উঠেছে প্রায়! তারা এই ঘড়ির দাম বাবদ এক লক্ষ টাকা দিতে চাইলো আমাকে’।

ছেলের কথা শুনে বাবা হাসলেন। বললেন, ‘আমি তোমাকে এটাই শিখাতে চাচ্ছিলাম যে, যারা তোমার মূল্য বুঝবে তারা ঠিকই তোমাকে জীবনে মূল্যায়ন করবে। আর যারা তোমার মূল্য বুঝবেনা, তারা কোনোদিনও তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা। তাই, যারা তোমাকে মূল্যায়ন করবেনা তাদের দেখে হতাশ হয়ে পড়ো না। তারা তোমার মূল্য বুঝতে অক্ষম। তুমি তাদের কাছেই যাবে তারা তোমার সত্যিকার মূল্য বুঝবে…’।

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, প্রেরণা, মগজ ধোলাই, সংগৃহীত

  • « Previous Page
  • 1
  • …
  • 32
  • 33
  • 34
  • 35
  • 36
  • …
  • 38
  • Next Page »

নামাজের সময়সূচী

    ঢাকা, বাংলাদেশ
    শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
    ওয়াক্তসময়
    ফজর4:00 AM
    সূর্যোদয়5:12 AM
    জোহর12:00 PM
    আসর4:40 PM
    মাগরিব6:48 PM
    ইশা8:00 PM

বিভাগসমূহ

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • এই ৯ মিনিট আপনার সন্তানের জন্য ভীষণ প্রয়োজন
  • আবোল তাবোল রাজনীতি – পার্ট ২
  • সংখ্যা অনুপাতিক নির্বাচন ও এর সুফল
  • আমার আয়না ঘর দর্শন
  • কি দেখে পুরাতন/ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনব?
  • আবোল তাবোল রাজনীতি
  • ফলো টু ফলো – Follow to Follow
  • বি.ডি.এস. পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন।
  • আমি আজও বুঝলাম না আমার ডিভোর্সের আসল কারণ কি?
  • কিছু নির্মম ইতিহাস – Tasrif Khan
  • কেউ সুখে না রাখলে কি সুখি হওয়া যায়?
  • Sarjis Alam ভাইয়ের ২০২১ সালের পোস্ট
  • আমার গুমের গল্প।ভিক্টিম: মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী!
  • পাপের নগদ শাস্তি
  • যে ভালোবাসে তাকেই পাশে রাখ।
  • ছাদবাগান থেকেই আসবে প্রয়োজনীয় সবজি
  • A গ্রেড অথবা B গ্রেড টাইলস চেনার উপায় কি?
  • আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে?
  • প্রচন্ড গরমে বিল্ডিং বা পাকা বাড়িতে AC ছাড়াই ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে একটি পরামর্শ
  • এসি-ফ্যান একসাথে চালালে ঘর ঠান্ডা হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ বাঁচে?

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় সুমাইয়া
  • অনলাইনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং পেনশন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশনায় মোঃ শরিফুল ইসলাম
  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় পান্না দাশ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ

অনুসন্ধান করুন

বিভাগসমূহ

স্বাস্থ্য টিপস

ধৈর্য

ধৈর্য একটি অসাধারণ মানসিক শক্তি। অন্য সব শক্তির মত, এই শক্তিকেও অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। নিজের সমস্ত সাহস আর নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ, অর্থা‌ৎ ‘self-control’কে এক জায়গায় করুন। কোনও ব্যাপারে অস্থির হয়ে পড়লে, বা মনে ভয় জাগলে ধৈর্য ধরার চেষ্টা করুন। বিশ্বাস রাখুন, সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে। আপনাকে শুধু আপনার কাজটি করে যেতে হবে। ধৈর্য এমন একটি গাছ, যার সারা গায়ে কাটা কিন্তু ফল […]

Copyright © 2025