ADHD (Attention Deficit Hyperactivity Disorder). এটি একটি মেডিক্যাল সমস্যা যা অনেক অভিভাবক খেয়াল করেন না। খুব ছোট বেলা থেকেই এই রোগ হতে পারে আর চিকিৎসা না করালে জটিল হতে পারে।
এডিএইচডি শিশুদের চঞ্চলতা কমানোর ১০টি উপায়
Related Images:

বিডি টপ টেন
ADHD (Attention Deficit Hyperactivity Disorder). এটি একটি মেডিক্যাল সমস্যা যা অনেক অভিভাবক খেয়াল করেন না। খুব ছোট বেলা থেকেই এই রোগ হতে পারে আর চিকিৎসা না করালে জটিল হতে পারে।
এডিএইচডি শিশুদের চঞ্চলতা কমানোর ১০টি উপায়
এমন একটা জিনিস, যেটা পর কে আপন করে দেয়, আর আপন’কে পর করে দেয়, মুহূর্তেই!
অপছন্দের মানুষদের সাথে খারাপ ব্যবহার আর পছন্দের মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহার এটাই স্বাভাবিক। কারো সাথে আপনার ব্যবহারই বলে দেবে সে আপনার কতটুকু আপন। আপনার ব্যবহারই বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ, আপনার বংশপরিচয়। তবে কিছু ব্যবহার নিয়মের, লোক দেখানো, ব্যবসায়িক স্বার্থে।
উত্তম চরিত্র ও সুন্দর ব্যবহার এক অনন্য গুণ। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুমিন হয় উত্তম চরিত্রের অধিকারী। অর্থাৎ সে বদমেজাজী, বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ও মানুষের সাথে রুক্ষ আচরণকারী হয় না।
নিজেকে বড় মনে না করার নাম বিনয়। মানুষ খারাপ আচরণ করে তখনই যখন সে নিজেকে বড় মনে করে এবং অন্যকে ছোট ও তুচ্ছ মনে করে। সে চিন্তা করে যে, আমি তো বড়, সবার কর্তব্য আমার সম্মান করা ও অনুগত থাকা। কিন্তু ঐ লোকটা আমার যথাযথ সম্মান করেনি। সুতরাং সে অন্যায় করেছে। সে আমার ভালো আচরণ পাওয়ার যোগ্য নয়। এমন অহংকারই হচ্ছে সকল মন্দ আচরণের মূল।
সুতরাং সুন্দর ব্যবহারের মূল হচ্ছে বিনয়। পক্ষান্তরে বদ ও দুর্ব্যবহারের মূল হল অহংকার।
“যে আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য নিজেকে নীচু করে আল্লাহ তাকে উঁচু করে দেন।”
-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১১২৯৯
ধৈর্য একটি অসাধারণ মানসিক শক্তি। অন্য সব শক্তির মত, এই শক্তিকেও অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। নিজের সমস্ত সাহস আর নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ, অর্থাৎ ‘self-control’কে এক জায়গায় করুন। কোনও ব্যাপারে অস্থির হয়ে পড়লে, বা মনে ভয় জাগলে ধৈর্য ধরার চেষ্টা করুন। বিশ্বাস রাখুন, সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে। আপনাকে শুধু আপনার কাজটি করে যেতে হবে।
ভাই অন্যায় করে, মেনে নেই।
বোন অন্যায় করে মেনে নেই।
মা অন্যায় করে মেনে নেই।
বাবা অন্যায় করে মেনে নেই।
নিজে অপরাধ করেও অন্যকে দাবিয়ে রাখি।
কিন্তু—
ভাবি অন্যায় করে, সহ্য করতে পারি না।
দুলাভাই অন্যায় করে, সহ্য করতে পারি না।
শাশুড়ি অন্যায় করে, সহ্য করতে পারি না।
শশুর অন্যায় করে, সহ্য করতে পারি না।
অন্যের অপরাধ সহ্য করতে পারি না।
আবার—
ভাইয়ের দোষ খুঁজি, ভায়রার দোষ দেখি না।
বোনের দোষ খুঁজি, বউয়ের দোষ দেখি না।
মায়ের দোষ খুঁজি, শাশুড়ির দোষ দেখি না।
বাবার দোষ খুঁজি, শশুরের দোষ দেখি না।
নিজের দোষ ঢাকতে অন্যকে দোষী বানাই।
এমনও ঘটে = রহস্যময় সম্পর্ক
বউয়ের থেকে গার্লফ্রেন্ড আপনজন।
স্বামী থেকে বয়ফ্রেন্ড ঘনিষ্টজন।
আত্মীয় থেকে অনাত্মীয়ই বিশিষ্টজন।
চলমান—
ঘুণে ধরা সমাজে,
কম বেশি অনেকে এভাবেই চলছি !!!
আত্মশুদ্ধির সুযোগ থাকলেও গ্রহণ করি না।
রক্তের সাথে মাখামাখি সব একাকার।
***পরিশেষে***
মহান তারা ব্যতিক্রম যারা।
মুখ বুজে সব মেনে নেওয়া, সহ্য করা মানুষগুলোর সহায় তো মহান আল্লাহ।
এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এক যুবক তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে দেখতে পেলেন। বহুদিন পর ছোটবেলার শিক্ষককে দেখে যুবক তাঁর কাছে ছুটে গেলেন এবং বললেন, “স্যার, আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন ?”
শিক্ষক বললেন, ”না, আমি খুব দুঃখিত, তোমাকে চিনতে পারছি না।”
যুবক তখন বললেন, “স্যার,আমি আপনার ছাত্র, আপনার মনে থাকার কথা, থ্রিতে পড়ার সময় আমাদের এক সহপাঠীর দামি একটি কলম চুরি হয়েছিল।
সেই সহপাঠী কাঁদতে কাঁদতে আপনাকে নালিশ করল। আর আপনি সব ছাত্রকে চোখ বন্ধ করে দেয়ালের দিকে মুখ করে দাঁড়াতে বললেন। তারপর একজন একজন করে চেক করতে শুরু করলেন । আমি ভয়ে কাঁপতে লাগলাম। কারণ কলমটি ছিল আমার পকেটে।
আমি যে কলমটি চুরি করেছি তা আবিষ্কার হওয়ার পর আমি যে লজ্জার মুখোমুখি হব, আমার শিক্ষকরা আমার সম্পর্কে যে ধারণা পাবেন, স্কুলে সবাই আমাকে ‘চোর’ বলে ডাকবে এবং এটি জানার পর আমার মা-বাবার কী প্রতিক্রিয়া হবে- এই সমস্ত ভাবতে ভাবতে আমার মরে যেতে ইচ্ছে হল।
একসময় আমার পালা এল । আমি অনুভব করলাম আমার পকেট থেকে আপনি কলমটি বের করছেন। কিন্তু আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আপনি কিছু বলছেন না এবং আপনি বাকী শিক্ষার্থীদের পকেট অনুসন্ধান করে চলেছেন।
তারপর যখন অনুসন্ধান শেষ হল, আপনি আমাদের চোখ খুলতে বললেন এবং আমাদের সবাইকে বসতে বললেন। ভয়ে আমি বসতে পারছিলাম না, কারণ আমার মনে হচ্ছিল একটু পরেই আপনি আমাকে ডাকবেন। না, আপনি তা না করে কলমটি সবাইকে দেখালেন এবং মালিককে ফেরৎ দিলেন।
কলমটি যে চুরি করেছে তার নাম আপনি আর কখনও কাউকে বলেননি। আপনি আমাকে একটি কথাও বলেননি, এবং আপনি কখনও কারও কাছে গল্পটির উল্লেখও করেননি।
স্যার , আপনি সেদিন আমার মর্যাদা রক্ষা করেছিলেন।
এই ঘটনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম জীবনে আর অন্যের জিনিস ছুঁয়েও দেখব না। ”
“স্যার, এখন গল্পটি মনে পড়েছে কি ? গল্পটি আপনার ভোলার কথা না !!”
শিক্ষক জবাব দিলেন, ” হ্যাঁ! গল্পটি খুব ভালভাবেই মনে আছে আমার। তবে কার পকেটে কলমটি পাওয়া গিয়েছিল তা কখনো জানতে পারিনি। কারণ যখন আমি সবার পকেট চেক করছিলাম তখন আমি ইচ্ছে করেই তোমাদের মত নিজের চোখও বন্ধ করে রেখেছিলাম।”
এভাবেই শিক্ষকরা আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন জাতি গঠনে কাজ করে চলেন নিরন্তর।
যখন মানুষ বিপদে পড়ে, তখন এক রকম কথা বলে আবার বিপদমুক্ত হলে তার আসল চরিত্র প্রকাশ পায়। হুমায়ূন আহমেদ তাঁর আত্মজীবনীতে এক লোকের ইউটার্নের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। “আমি একজন ঘোরতর নাস্তিককে চিনতাম, তার ঠোঁটে একবার একটা গ্রোথের মতো হলো। ডাক্তাররা সন্দেহ করলেন ক্যানসার। সঙ্গে সঙ্গে সেই নাস্তিক পুরোপুরি আস্তিক হয়ে গেলেন। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যান। বায়োপসির পর ধরা পড়ল গ্রোথের ধরন খারাপ […]