বিডি টপ টেন

বিডি টপ টেন

আজকের দিন-তারিখ-সময়
আজ ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার | ভোর ৫:১৭
  • হোম
  • ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস
  • অফার
  • জোকস
  • স্বাস্থ্য টিপস
  • তারকা সংবাদ
  • ধর্ম
    • ইসলাম
  • জনসচেতনতা
  • নব দিগন্ত
  • জানা অজানা
  • সংগৃহীত

প্রিয় নবী সা. এর চুল যেমন ছিল!

এপ্রিল ৮, ২০২১ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

?️
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আরব পুরুষদের রীতি ছিল লম্বা চুল রাখা। রাসুল নিজেও লম্বা চুল রাখতেন। তার চুল কখনো কানের মাঝামাঝি, কানের লতি কিংবা দুই কাঁধ পর্যন্ত লম্বা থাকতো। তার চুল কাঁধ ছাড়িয়ে আরো লম্বা হত বলে জানা যায়। [১]

?️
কখনো এতদূর অবধি লম্বা হত যে তা বিনুনি/গুচ্ছ করে রাখতেন। তার চাচাতো বোন উম্মে হানী রা. বলেন, “(মক্কা বিজয়ের সময়) রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন মক্কায় আগমন করলেন তখন তার চুলে চারটি গুচ্ছ বা বিনুনি ছিল” [২]

?️
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম বলেন, “তার চুল যখন লম্বা হতো তখন তিনি তা চারটি গুচ্ছে বিভক্ত রাখতেন” [৩]
*আরবীতে চুল জড়িয়ে বা বিনুনি করাকে “গাদীরাহ” বলে। হাদীসে “আরবায়ু গাদায়ের” চারটি গুচ্ছ ভাষাটি ব্যাবহার হয়েছে।

?️
ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, “অধিকাংশ সময়ে তার চুল এরূপ কাঁধের কাছাকাছি থাকত। কখনো তা আরো লম্বা হতো এবং ঝুলন্ত গুচ্ছে পরিনত হতো। তিনি সেগুলোকে বিনুনি বানিয়ে রাখতেন” তবে কাঁধ অবধি থাকা তার স্বাভাবিকতা ছিল।[৪]

?️
হজ্জ বা উমরা ব্যতীত তিনি কখনো মাথার চুল মুন্ডন করেছেন বলে জানা যায় না।[৫]
সেজন্যই এ নিয়ে মতভেদ আছে মুন্ডন করা যাবে কি যাবে না। কোনো কোনো ফকীহ হজ্জ উমরা ছাড়া মাথা মুন্ডন কে মাকরুহ বলেছেন। দু কারনে তাদের মতের পক্ষে এ প্রমান পেশ করেন। প্রথমত, রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজে কখনোই হজ্জ উমরা ছাড়া মাথা মুন্ডন করেন নি। দ্বিতীয়ত – বিভিন্ন হাদীস থেকে মাথা মুন্ডন আপত্তিকর বলে জানা যায়। সাহাবীগন ছোট চুল রাখতেন। নেড়া পরিহার করতেন।

?️
জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হজ্জে বা উমরা ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না” (দূর্বল সনদ)[৬]

*দূর্বল হলেও বেশ কয়েক সনদে হাদীসটি উল্লেখ আছে। (তবে হাদীসের বর্ননা সূত্রের কেউ মিথ্যায় অভিযুক্ত নন)। আবু নু’আইমের বর্ণনায় হাদিসটি হলো,
“হজ্জে বা উমরা ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না। এছাড়া তা সৃষ্টি বিকৃতি করা বলে গণ্য হবে।”[৭]

?️
অন্য হাদীসে জাবির রা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন,
“যে ব্যক্তি (মাথার চুল) মুন্ডন করে, (পোশাক পরিচ্ছদ) ছিড়ে ফেলে বা চিৎকার করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (সহীহ সনদ) [৮]

?️
দুবা’য়ি নামক এক নিকৃষ্ট অপরাধী ব্যক্তিকে হযরত উমার (রা) শাস্তি প্রদান করেন এবং বলেন,
“তোমাকে যদি মাথা মুন্ডিত অবস্থায় পেতাম তবে আমি যাতে তোমার চক্ষুদ্বয় রয়েছে তা (তোমার মস্তক) তরবারীর আঘাতে কেটে ফেলতাম।” মানে শাস্তি অধিক হতো। [১০]

এ থেকেও বোঝা যায়, সাহাবীগণ মাথা মুন্ডনের অভ্যাস কে আপত্তিকর বলে মনে করতেন। ইমাম আহমাদ ইবনু হানবাল বলেন, প্রথম যুগের সালাফগন মাথা মুন্ডন করা মাকরুহ বলে মনে করতেন।[১০] যদিও তা হারাম বা গুনাহের কাজ ভাবা যাবেনা।

?️
মোল্লা আলী কারী বলেন, “চুল দীর্ঘ হওয়া কোনো নিন্দিত বিষয় নয়। কাঁধ ছাপিয়ে পরিমাপের চেয়ে বড় হলে চুল কেটে ফেলতে হবে বলেও কোনো নির্দেশ নেই।” [১১] সুতরাং পুরুষের চুল কাঁধের নীচে চলে গেছে মানেই তিনি গুনাহ করছেন এটি দ্বীনি জ্ঞানে অজ্ঞদের ভাবনা। তবে এটি দারা অহংকার প্রকাশ যেনো না হয়।

?️
তবে মনে রাখতে হবে- বড় চুল রাখা পুরুষের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। অনেক ফকিহ দাড়ি বড় হবার আগে চুল বড় করতে বারন করেছেন (তাশাব্বুহ মায়ান নিসওয়ান)। ছোট করে চুল রাখাও জায়েজ। তবে মাথার সব অংশে তা সমান হতে হবে। কোথায় বড় কোথাও ছোট এভাবে কাটা ইসলাম সম্মত নয়।

?️
কাতাদাহ (রা) থেকে বর্নিত – তাঁর কাধ ছাপিয়ে বিশাল চুল নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের কাছে জিজ্ঞাসা করলে রাসূল সা.তাঁকে একদিন পর একদিন চুল আঁচড়াতে এবং পরিপাটি করে রাখতে নির্দেশ দেন। [১২]

?️
চুলে তেল দেয়া, সুগন্ধি মিশিয়ে তেল দেয়া, পুরুষের জন্য আঁচড়িয়ে পরিপাটি রাখা, মাঝে সিথি করাও সুন্নাহ।[১৩]

?️
সুতরাং যাদের দারা সম্ভব রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের দায়েমী এ চুলের সুন্নাতের আমল করতে পারি। কেউ বড় চুল রাখলে, কানের লতি ছাপিয়ে নীচে গেলেই না বুঝে আপত্তিকর বাজে মন্তব্য না করি। আল্লাহ আমাদের বুঝ দান করুন।
বিঃদ্রঃ কোন যৌক্তিক কারনে পিতামাতা যদি সন্তানকে চুল ছোট রাখতে বলেন তা মান্যকরা দায়িত্ব। কারন চুল বড় রাখা একটি সুন্নাহ যায়েদা, পিতামাতার বাধ্য থাকা ফরয। সুতরাং এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবেনা।

? আরো বিস্তারিত জানতে
ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহি রচিত “ইসলামে পোশাক পর্দা ও দেহ-সজ্জা” বইটি পড়ে নিতে পারেন।

?️
রেফারেন্স:
১-তিরমিযী, আশ শামাইল আল মুহাম্মাদিয়া/৪৭-৫০, আবু দাউদ, আস সুনান ৪/৮১,
আলবানী মুখতাসারুশ শামাইল/ ৩৪-৩৬
২-তিরমিযী, আস সুনান ৪/২৪৬, আবু দাউদ, আস সুনান ৪/৮৩, ইবনু মাজাহ, আস সুনান ২/১১৯৯, ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ৬/৫৭২, ১০/৩৬০, আলবানী, মুখাতাসারুশ শামাইল/৩৫
৩-ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মা’আদ ১/১৭০
৪-ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ১০/৩৬০
৫-ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মা’আদ ১/১৬৭, শামী সীরাহ শামিয়াহ ৭/৩৪৯-৩৫০
৬- তাবারানী, আল মু’জামুল আউসাত ৯/১৮০
৭-আবু নু’আইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৮/১৩৯
৮-বুখারী,আস সহীহ ৬/২৭৪৮
৯-ইবনু কুদামা, আল মুগনী ১/৬৫
১০-মোল্লা আলী কারী, মিরকাত ৮/২৪০
১১-মিরকাত ৮/২৪০
১২-নাসায়ী – ৮/১৮৪।
১৩- মুয়াত্তা মালিক- ২/৯৪৯।

Abdul Hi Muhammad Saifullah

 

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: ইসলাম, জানা অজানা, জেনে নিন, ধর্ম, নব দিগন্ত, প্রেরণা, মগজ ধোলাই, রূপসৌন্দর্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু সুরক্ষা Tagged With: চুল, চুলে তেল দেয়া, ছোট চুল, দীর্ঘ চুল, নবী সা. এর চুল, বড় চুল রাখা, বিনুনি, মাথা মুন্ডন করা, মাথার চুল, সিথি করা

কিভাবে জন্ম নিবন্ধন করবেন?

মার্চ ৩, ২০২১ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

  • জন্ম নিবন্ধন আবেদন
  • জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রন
  • জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনুসন্ধান
  • জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন
  • জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
  • সার্টিফিকেট বাতিলের আবেদন

★নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
http://bdris.gov.bd/br/application

★জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা
http://bdris.gov.bd/br/application/status

★জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রন
http://bdris.gov.bd/br/reprint/add

★জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনুসন্ধান
http://bdris.gov.bd/br/search

★জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংশোধন আবেদন
http://bdris.gov.bd/br/correction

★জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট
http://bdris.gov.bd/application/print

★ সার্টিফিকেট বাতিলের আবেদন

 

 

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: Govt. Info, জনসচেতনতা, জানা অজানা, জেনে নিন

স্বৈরাচারী সরকারের ১০ লক্ষণ

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

গণমাধ্যমকে ভয় দেখানো

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে গণমাধ্যম বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকে৷ সরকারের সমালোচনা ও ভুল ধরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক৷ ফলে সমালোচনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সাংবাদিকদের দূরে রাখতে স্বৈরাচারী শাসকরা পত্রিকা, টেলিভিশনকে ভয় দেখিয়ে কোণঠাসা করতে চান৷

সরকারপন্থি গণমাধ্যম সৃষ্টি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে৷ ফলে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা সবক্ষেত্রে সম্ভব হয় না৷ পালটা ব্যবস্থা হিসেবে স্বৈরশাসকরা সরকারপন্থি গণমাধ্যম নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন৷ এর ফলে ব্যাপক হারে সরকারের নানা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো সহজ হয়৷

রাষ্ট্রীয় সংস্থার দলীয়করণ

রাষ্ট্রের সকল স্তরে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে স্বৈরাচারী শাসকরা পুলিশ, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সরকারি আমলাদের মধ্যেও দলীয়করণ প্রতিষ্ঠা করে থাকেন৷ এর ফলে রাষ্ট্রের ভেতর থেকে ক্ষোভ দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়৷

বিরোধীদের ওপর রাষ্ট্রীয় নজরদারি

রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থাকে সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীতাকারীদের ওপর নজরদারির কাজে লাগানো হয়৷ গোয়েন্দা মারফত পাওয়া তথ্য কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে নানাভাবে হেয় করা ও কোণঠাসা করতে অপব্যবহার করা হয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা৷

বিশেষ সুবিধা ও দমনপীড়ণ

স্বৈরাচারী সরকার বা সরকারপ্রধানকে যেসব কর্পোরেট সংস্থা বা ব্যক্তি নানাভাবে সহায়তা করে থাকেন, তাদের বিশেষ রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেয়া হয়৷ বেআইনি উপায়ে কাজ পাইয়ে দেয়া থেকে শুরু করে নানাভাবে সহায়তা করা হয়৷ অন্যদিকে, যেসব সংস্থা সহায়তা করে না, তাদের ক্ষেত্রে চলে যে-কোনো উপায়ে দেউলিয়া বানানোর প্রক্রিয়া৷

বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ

আদালত স্বাধীন থাকলে স্বৈরাচারী শাসকদের নানা সময়ে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়৷ ফলে শুরু থেকেই স্বৈরাচারী শাসকরা সুপ্রিম কোর্টকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করেন৷ অনুগত বিচারক নিয়োগ দেয়া, বিরোধীদের ছাঁটাই করা থেকে শুরু করে, নানাভাবে চেষ্টা চলে এ নিয়ন্ত্রণের৷

একপাক্ষিক আইন প্রয়োগ

স্বৈরাচারী শাসকদের শাসনামলে ‘আইন সবার জন্য সমান’ বাক্যটি থাকে শুধু কাগজে-কলমে৷ বাস্তবে প্রতিপক্ষকে দমনের জন্য পাস করা হয় নতুন নতুন আইন৷ বিরোধীদের নানা উছিলায় গ্রেপ্তার নির্যাতন করা হলেও, নিজের সমর্থকদের রাখা হয় আইনের আওতার বাইরে৷

‘জুজুর ভয়’ দেখানো

বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে ভয়াবহ অবস্থা হবে, দেশ রসাতলে যাবে, বিরোধীরা কত খারাপ, ক্রমাগত সে প্রচার চালানো হয়৷ এর ফলে এমন অবস্থা তৈরির চেষ্টা হয় যাতে জনগণের মনে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে একটা নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা যায়৷

দৃষ্টি সরাতে ভীতি সৃষ্টি

ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্ন ধরনের ভীতি তৈরি করে থাকেন স্বৈরাচারী শাসকরা৷ অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, গণতন্ত্রহীনতা ও দুঃখ-দুর্দশা থেকে জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে রাখতে কোথাও জঙ্গি সংকট, কোথাও মাদকবিরোধী যুদ্ধ, কোথাও অন্য দেশের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়৷

নির্বাচনে কারচুপি

আগে জোর করে ক্ষমতায় থাকার উদাহরণ থাকলেও, এখন স্বৈরাচারী শাসকরাও নিয়মিত বিরতিতে নির্বাচন দিয়ে থাকেন৷ ‘গণতন্ত্র আছে’ জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহলে এমন ধারণা দেয়ার জন্য তারা নির্বাচন দেন৷ কিন্তু সে নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের আয়োজন আগে থেকেই করা থাকে৷

লেখক: অনুপম দেব কানুনজ্ঞ

source: https://p.dw.com/p/3oxvX

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, জানা অজানা, জেনে নিন, মগজ ধোলাই Tagged With: নাঈমুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ

আইনের ধারা মনে রাখার সহজ উপায়

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

একজন সাধারণ ব্যক্তি এবং একজন আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল একজন সাধারণ ব্যক্তি জানেন কোনটা অপরাধ আর কোনটা অপরাধ নয় কিন্তু আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তি একই বিষয় জানার সাথে জানেন কোন আইনের কত ধারায় সেই বিষয়ে বলা আছে। কোন আইনের কোন ধারা জানেন বলেই তিনি অভিজ্ঞ। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩ হাজারের বেশি আইন রয়েছে। সব আইনের সব ধারা মনে রাখা দুঃসাধ্য ব্যাপার তবে আইনকে পেশা হিসেবে নিলে অন্তত কোন কোন আইনে কি রয়েছে সেটা মনে রাখতে হবে।

ধাপ ১) সবার প্রথমে মনকে ঠিক করতে হবে যে আপনি ধারা মনে রাখতে চান এবং মনের মধ্যে এই আগ্রহ তৈরি করতে হবে।

ধাপ ২) প্রথমে আপনি মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন মোট কয়টি ধারা আছে , কয়টি অধ্যায় বিভক্ত এবং কি ? যেমন, দণ্ডবিধি ১৮৬০ এ মোট ধারা রয়েছে ৫১১ টি এবং অধ্যায় রয়েছে ২৩ টি।

ধাপ ৩) এরপর উক্ত আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারা গুলো নির্বাচন করতে হবে।

যেমন দণ্ডবিধির গুরুত্বপূর্ণ ধারা:

  • মৃত্যুদণ্ডের ধারাগুলো: ১২১, ১৩২, ১৯৪, ৩০২, ৩০৩, ৩০৫, ৩০৭(২), ৩৯৬
  • যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ধারা গুলো:
    ১২১, ১২১ক, ১২২, ১২৪ক, ১২৫, ১২৮, ১৩০, ১৩২, ১৯৪, ১৯৫, ২২৫, ২২৫ক, ২২৬, ২৩২, ২৩৩, ২৫৫, ৩০২, ৩০৪, ৩০৫, ৩০৭, ৩১১-৩১৫ , ৩২৬, ৩২৯, ৩৬৪, ৩৭১, ৩৭৬, ৩৭৭, ৩৮৮, ৩৮৯, ৩৯৪, ৩৯৬, ৪০০, ৪০৯, ৪১২, ৪১৩, ৪৩৬, ৪৩৭, ৪৪৯, ৪৫৯, ৪৬০, ৪৬৭, ৪৭২, ৪৭৪, ৪৭৫, ৪৭৭
  • সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ধারাগুলো : ১২৬, ১২৭, ১৬৯
  • শুধুমাত্র জরিমানা দণ্ড : ১৩৭, ১৫৪-১৫৬, ১৭৬, ২৯৪ক, ১৭১, ২৭৮, ২৬৩ক, ২৮৩, ২৯০, ১২৩-১২৮, ১৩০, ১৩৪, ৩৮০, ৪৫৭।
  • দণ্ডবিধির প্রথম শাস্তির ধারা ১০৯ এবং সর্বশেষ শাস্তির ধারা ৫১১।
  • সবচেয়ে কম শাস্তির ধারা ৫১০ এবং সর্বোচ্চ ৩০৩

এভাবে আপনার নিজের মত করে সাজিয়ে নিবেন।

ধাপ ৪) যেকোনো বিষয়ের শুরুর ধারা এবং শেষ ধারা। তাহলে যেকোনো মাথায় একটি কাঠামো তৈরি হবে উক্ত বিষয় সম্পর্কে। গুরুত্বপূর্ণ ধারার মাঝে যে সকল ধারা রয়েছে সেটা সম্পর্কে একটা ধারণা নিতে হবে ।

  • যেমন চুরি বিষয়ে শুরুর ধারা ৩৭৮ এবং শেষ ধারা ৩৮২।

ধাপ ৫) নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। প্রতিদিন করলে খুব ভাল, না হলে সপ্তাহে অন্তত একবার পড়তে হবে। তাও সম্ভব না হলে অন্তত গুরুত্বপূর্ণ ধারা গুলো নিয়মিত পড়তে হবে।

আইন নিয়ে কিছু করতে হলে যেমন আপনি বিচারক বা আইনজীবী হলে আপনাকে ধারা মনে রাখতেই হবে। আর এই পেশায় পড়াশুনার কোন বিকল্প নাই। আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত আইনজীবীগণ এখনো নিয়মিত পড়াশুনা করেন।

আশাকরি বিষয়টি সকলে বুঝেছেন। আপনি যদি উপরোক্ত ৫ ধাপ মেনে চলেন তবে আপনি অবশ্যই ধারা মনে রাখতে পারবেন। সব সময় মূল আইন পড়ুন এবং গাইড বা নোট বইকে সহায়ক বই হিসাবে ব্যবহার করুণ।

লেখক: নুরে আলম
শিক্ষানবিশ আইনজীবী ঢাকা জজ কোর্ট

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: জনসচেতনতা, জানা অজানা, জেনে নিন, মগজ ধোলাই, সংগৃহীত Tagged With: আইনের ধারা, জরিমানা দণ্ড, বিচারক বা আইনজীবী

আপনার আকীদার জ্ঞান নিজেই পরীক্ষা করুন

জানুয়ারি ৯, ২০২১ by BD TOP TEN Leave a Comment (Edit)

 

প্রশ্ন নং ১: তাওহীদ কত প্রকার؟

  • ৩
  • ২
  • ৪

Answer
3

প্রশ্ন নং ২: কাফিররা কোন প্রকার তাওহীদকে মেনে নিয়েছিল؟

  • তাওহীদে উলূহিয়্যাহ
  • তাওহীদে আসমা ও ছিফাত
  • ‍ তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ

Answer
রুবূবিয়্যাহ

প্রশ্ন নং ৩: মৃতের কাছে কোন কিছু চাওয়ার বিধান কি؟

  • শিরক
  • কুফরি
  • বিদআত

Answer
শিরক

প্রশ্ন নং ৪: আল্লাহকে একমাত্র ইবাদতের হকদার মেনে নেয়া কোন প্রকার তাওহীদ؟

  • তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ
  • তাওহীদে উলূহিয়্যাহ
  • তাওহীদে আসমা ও ছিফাত

Answer
তাওহীদে উলূহিয়্যাহ

প্রশ্ন নং ৫: আল্লাহকে সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিযিকদাতা ও বিধানদাতা হিসেবে মেনে নেয়া কোন প্রকার তাওহীদ؟

তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ

তাওহীদে উলূহিয়্যাহ

তাওহীদে আসমা ও ছিফাত

Answer
তাওহীদে রুবূবিয়্যাহ

প্রশ্ন নং ৬: রোগমুক্তির জন্য তা’বীয, কবজ, সুতা ইত্যাদি ব্যবহার করার হুকুম কি؟

  • শিরক
  • বিদআত
  • কুফরি

Answer
শিরক

প্রশ্ন নং ৭: মাযারে দোআ করলে কবূল হয় মনে করে সেখানে গিয়ে দোআ করার হুকুম কি؟

  • বিদআত
  • কুফরি
  • ভাল কাজ

Answer
বিদআত

প্রশ্ন নং ৮: শাহাদাতাইনের পর সর্বোত্তম আমল কোনটি؟

  • ছালাত (নামায)
  • ছিয়াম (রোযা)
  • হজ্জ

Answer
ছালাত (নামায)

প্রশ্ন নং ৯: ঈমানের রুকন কয়টি؟

  • ৫
  • ৬
  • ৪

Answer
৬

প্রশ্ন নং ১০: ইসলামের রুকন কয়টি؟

  • ৫
  • ৬
  • ৪

Answer
৫

প্রশ্ন নং ১১: “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” অর্থ:

  • আল্লাহ্ ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই
  • আল্লাহকে এক মেনে ইবাদত করা
  • আল্লাহ এক তার প্রতি ঈামান আনা

Answer
আল্লাহ্ ছাড়া সত্য কোন মা‘বূদ নেই

প্রশ্ন নং ১২: “মুখে স্বীকৃতি, অন্তরে বিশ্বাস ও কর্মে বাস্তবায়ন যা আনুগত্যে বাড়ে এবং পাপে কমে” এটি কিসের সংজ্ঞা؟

  • ঈমান
  • ইসলাম
  • ইহসান

Answer
ঈমান

প্রশ্ন নং ১৩: ইসলামের মধ্যে নতুন তৈরী যার কোন দলীল পাওয়া যায় না এটি:

  • শিরক
  • বিদআত
  • সুন্নাত

Answer
বিদআত

প্রশ্ন নং ১৪: সবচেয়ে বড় পাপ কোনটি؟

  • শিরক
  • ছালাত (নামায) না পড়া
  • মিথ্যা বলা

Answer
শিরক

প্রশ্ন নং ১৫: গণক, যাদুকর এদের কাছে গিয়ে হারানো কোন কিছু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার হুকুম কি؟

  • হারাম
  • বিদআত
  • জায়েয

Answer
হারাম

প্রশ্ন নং ১৬: রিয়া বা লোক দেখানো আমলের হুকুম কি؟

ছোট শিরক

বড় শিরক

কুফরি

Answer
ছোট শিরক

প্রশ্ন নং ১৭: গাইরুল্লাহ যেমন মা বাবার নামে কসম এর বিধান কি؟

  • ছোট শিরক
  • বিদআত
  • বড় শিরক

Answer
ছোট শিরক

প্রশ্ন নং ১৮: মুসলিম তার আক্বীদা কোথায় থেকে শিখবে؟

  • আসমানী সকল কিতাব
  • কুরআন ও সুন্নাত
  • কেবল কুরআন থেকে

Answer
কুরআন ও সুন্নাত

প্রশ্ন নং ১৯: জিনদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা কি؟

  • কুফরি
  • শিরক
  • কোন সমস্যা নেই

Answer
কুফরি

প্রশ্ন নং ২০: ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান

  • দ্বীনের রুকন
  • ইসলামের রুকন
  • ঈমানের রুকন

Answer
ঈমানের রুকন

Related Images:

BD TOP TEN

Filed Under: ইসলাম, জনসচেতনতা, জানা অজানা, জেনে নিন, ধর্ম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান Tagged With: আকীদার জ্ঞান

  • « Previous Page
  • 1
  • …
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • 24
  • …
  • 34
  • Next Page »

নামাজের সময়সূচী

    ঢাকা, বাংলাদেশ
    রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ওয়াক্তসময়
    ফজর5:25 AM
    সূর্যোদয়6:32 AM
    জোহর11:53 AM
    আসর3:37 PM
    মাগরিব5:13 PM
    ইশা6:20 PM

বিভাগসমূহ

সাম্প্রতিক প্রকাশনাসমূহ

  • এই ৯ মিনিট আপনার সন্তানের জন্য ভীষণ প্রয়োজন
  • আবোল তাবোল রাজনীতি – পার্ট ২
  • সংখ্যা অনুপাতিক নির্বাচন ও এর সুফল
  • আমার আয়না ঘর দর্শন
  • কি দেখে পুরাতন/ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনব?
  • আবোল তাবোল রাজনীতি
  • ফলো টু ফলো – Follow to Follow
  • বি.ডি.এস. পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন।
  • আমি আজও বুঝলাম না আমার ডিভোর্সের আসল কারণ কি?
  • কিছু নির্মম ইতিহাস – Tasrif Khan
  • কেউ সুখে না রাখলে কি সুখি হওয়া যায়?
  • Sarjis Alam ভাইয়ের ২০২১ সালের পোস্ট
  • আমার গুমের গল্প।ভিক্টিম: মাসরুর আনোয়ার চৌধুরী!
  • পাপের নগদ শাস্তি
  • যে ভালোবাসে তাকেই পাশে রাখ।
  • ছাদবাগান থেকেই আসবে প্রয়োজনীয় সবজি
  • A গ্রেড অথবা B গ্রেড টাইলস চেনার উপায় কি?
  • আমাদের ছেলেরা কীভাবে পুরুষ হবে?
  • প্রচন্ড গরমে বিল্ডিং বা পাকা বাড়িতে AC ছাড়াই ঠান্ডা পরিবেশে থাকতে একটি পরামর্শ
  • এসি-ফ্যান একসাথে চালালে ঘর ঠান্ডা হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ বাঁচে?

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় সুমাইয়া
  • অনলাইনে প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং পেনশন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশনায় মোঃ শরিফুল ইসলাম
  • ❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit প্রকাশনায় পান্না দাশ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ
  • কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ক জিজ্ঞাসা প্রকাশনায় HAFEZ

অনুসন্ধান করুন

বিভাগসমূহ

স্বাস্থ্য টিপস

❌ লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। ? এম এম কিট MM Kit

এম এম কিট হচ্ছে মাসিক নিয়মিতকরণ অথবা গর্ভপাতের জন্য একটি কম্বিনেশন ওষুধ। এখানে মাসিক নিয়মিত বলতে অস্ত্রোপচার ছাড়া মাসিক নিয়মিত করা।) সেক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকারী ও নিরাপদ মাসিক নিয়মিতকরন করতে মিফটোন (মিফেপ্রিস্টেন) ও (মিসোপ্রস্টল) এই দুইটি ওষুধ একত্রে ব্যাবহার করা প্রয়োজন। এম এম কিট হচ্ছে এই দুইটা ওষুধ একত্রে একটি প্যাকেটে। এক প্যাকেটে মোট ৫টি ট্যাবলেট থাকে, দাম ৩০০টাকা। ১টি নীল রংয়ের বাকি ৪টি সাদা, নীল […]

Copyright © 2025